বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বে কে এ তথ্য জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের কমিটি গঠনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মহিউদ্দিন রনি, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত স্মারকলিপি এতদ্বসঙ্গে প্রেরণ করা হলো। স্মারকলিপিতে বর্ণিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গঠিত কমিটির সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এই দফতরে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এর আগে গত ২০ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থানের কারণ সম্পর্কে জানতে চান হাইকোর্ট। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ তথ্য জানাতে বলেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে হাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও তার সঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান নেন। ক’দিন ধরে সেখানে তারা গান, কবিতা, পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে রনি জানান, গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন নিবন্ধনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা সংস্থা বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তার পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এ কারণে ট্রেনের কোনও আসন পাননি তিনি। এমনকি কেন টাকা নেওয়া হলো, তার কোনেও রশিদও দেওয়া হয়নি। তাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা রোধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি।