শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

সতর্ক হওয়ার এখনই সময়

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

শ্রীলংকার বিপর্যয়ের পর দেশে দেশে শুরু হয়েছে গবেষণা কার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন? কর্তৃত্ববাদী শাসনের যাতাকলে কোন কোন দেশের জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠছে? ইত্যাদি ইত্যাদি। গত ১৮ জুলাই দৈনিক খবরপত্রে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হযেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে,‘আফ্রিকার অনেক দেশের ঋণ জিপিডির ৭০ শতাংশের ওপরে। কিন্তু তাদের রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম বলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা আছে। ঋণসংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। গণরোষে সে দেশের প্রেসিডেন্টকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তবে শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, বিশ্বের অনেক দেশ এখন ঋণে জর্জরিত। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের ঋণও তাদের জিডিপির চেয়ে বেশি। তাদের এই ঋণসংকট মোকাবিলা করার মতো সামর্থ্য আছে। আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থা তাদের মতো নয়। অথচ বাস্তবতা হলো, আফ্রিকার অনেক দেশের ঋণ জিডিপির ৭০ শতাংশের ওপরে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসংকটের কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশ। বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার মতো প্রায় একই পরিণতি হতে পারে লেবানন, সুরিনাম ও জাম্বিয়ার মতো দেশগুলোর। তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, তিউনিসিয়া, ঘানা, মিসর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এল সালভাদর, পাকিস্তান, ইকুয়েডর, বেলারুশ ও নাইজেরিয়া।‘ প্রতিবেনটিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের অবস্থা এরই মধ্যে বেশ নাজুক হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। দেশটির মুদ্রা ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়িত হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় আমদানির তুলনায় রপ্তানি একেবারেই কম। দেশটির রিজার্ভ এখন ইতিহাসে সবচেয়ে কম; ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দেশটির মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করতে হয় ঋণ পরিশোধে। ফলে উন্নয়নের জন্য দেশের বাকি থাকে সামান্যই। এদিকে বাংলাদেশের ঋণ জিডিপির সাপেক্ষে তেমন বেশি না হলেও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে।কিন্তু সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে, তেমন সম্ভাবনা কম।ঋণ পরিশোধের চাপ বাংলাদেশের ওপরও পড়বে বলে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকরা এখনই সতর্ক হবেন। তারা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিবেন। কারণ গণতন্ত্র মানে হলো,‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’। আমরা দলমতনির্বিশেষে এক সাথে কাজ করলে সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করলে জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় হবে। তখন আর কোন বৈরি শক্তিই আমাদের অগ্রযাত্রা রুখতে পারে না। তাই আমরা মনে করি, আর দেরি নয় সতর্ক হওয়ার এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com