কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত জায়গা বরাদ্দ নিয়ে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা, মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও পেশী শক্তি দিয়ে হয়রাণি বন্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ভুক্তভোগী রাশেদ হাসান রনি। এসময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগী রাশেদ হাসান রনি জানান, নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মচারী আব্দুল গনি ভূমিহীন পরিচয়ে কুড়িগ্রাম পুরাতন রেলস্টেশনে অবস্থিত ৬শতক কৃষি জমি লিজ নেন। এরপর তিনি প্রতিবেশীর চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন। পরে তিনি কৃষি জমিতে আধাপাকা বাড়ী নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে অবস্থান করেন। অথচ শহরের মুন্সিপাড়ায় তার নিজস্ব ক্রয়কৃত ১৬শতক জমির উপর বহুতল ভবণ রয়েছে। যেটি তিনি ভাড়ায় খাটছেন। রেলস্টেশনে এসে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রেলের বৃক্ষ নিধন করা শুর¤œ করেন। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ৩৩৩নম্বরে ফোন করা হলে রেল কর্তপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কেটে ফেলা গাছগুলো জব্দ করে নিলেও অভিযুক্ত আব্দুল গনিকে গ্রেপ্তার করেননি বা তার বির¤œদ্ধে আইনী কোন ব্যবস্থা গ্রহন কনেরনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল গনি ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদকাশক্তদেরকে নিয়ে আমার বাড়ীতে হামলা করে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়া হলে পুলিশ এসে আমাদের পরিবারকে রক্ষা করে। এ ব্যাপারে ওইদিন কুড়িগ্রাম সদর থানায় জিডি দায়ের করা হয়। জিডি নং-৮২৫। বিষয়গুলো লালমনিরহাট রেল কর্তপক্ষকে অবগত করা হলে আব্দুল গণি আমার পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়া করার জন্য কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধ্যাক্ষা মামলা করেন। চলতি মাসে মামলাটি খারিজ করা হলেও ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি লালমনিরহাট রেল কর্তপক্ষ। একাধিক অপরাধ ও অনিয়ম করার পরও লালমনিরহাট রেল কর্মকর্তার অব্যস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে, বিধি বহির্ভূতভাবে কৃষি লাইসেন্স দেয়ায় আব্দুল গনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কূট-কৌশলে আমাদের বাড়ীতে ঢোকার পথ বন্ধ করে বাপ-দাদার ভিটেমাটি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রাশেদ হাসান রনি সরকারি কর্মচারী আব্দুল গনির নামে বরাদ্দকৃত কৃষি জমির লাইসেন্সটি বাতিল করে ভুক্তভোগী পরিবারের নামে জমিটি বরাদ্দ দিয়ে পরিবারটির জিম্মিদশা থেকে মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।