সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর নদী খনন প্রকল্পের নামে আবাদী জমি ধ্বংস করে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বালু বিক্রির মহোউৎসবে মেতে উঠেছে বাদল এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় জনমনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। জানা যায়, করতোয়া নদীতে ৮ কিঃমিঃ নদী খনন প্রকল্পের কাজ পায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তার কাছ থেকে বাদল এন্টারপ্রাইজ নামে আর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ করতোয়া নদীতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বালু বিক্রির মহোউৎসবে মেতে উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ ভাবে বালু বিক্রির নির্দেশনা না থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত বালু বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু বালু বিক্রিই নয় অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজিং করার ফলে ধংস হচ্ছে আবাদী জমি। শুধু তাই নয় এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে চুক্তি করে আবাদী জমি ধ্বংস করে বালুর পাহাড় গড়ে নিয়ম না মেনে বিক্রি করা হচ্ছে এ বালু। এ ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। সরকার যেখানে আবাদী জমি রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে এই বাদল এন্টার প্রাইজ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে জমি ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে এটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন। এলাকাবাসী জানায়, নদী সংলগ্ন প্রায় ১০০ বিঘা জমি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জমিগুলো পানি নীচের থাকে শুস্ক মৌসুমে এ জমিগুলোতে ইরি বোরো ছারাও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু এই ড্রেজার দিয়ে এমনভাবে মাটি কাটা হচ্ছে গ্রীষ্ম মৌসুমে আমাদের জমি থাকবে নদী গর্ভে। বাংলা ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারনে আরো বেশী ধ্বংস হচ্ছে এ জমিগুলো। প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহতি করা সত্তেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় জনমনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। এ ঘটনায় সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বাদল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীরা মোঃ বাদলের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃর্পক্ষকে অবগত করবো যেন বিষয় টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।