নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলায় ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে তারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম, ঢাবি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডক্টর খায়রুল চৌধুরী, দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সাংবাদিক নজরুল কবীর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপয়ন খীসা এবং দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মুনতাসির জাহিদ। প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নড়াইলের দিঘলিয়ার মতো ঘটনা দেশে আর দেখতে চাই না। এজন্য অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সহায়-সম্পত্তির চেয়ে, মনে যে ক্ষত হয়েছে; সেটি দুর করা প্রয়োজন। এজন্য সবাইকে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার তিনটি বাড়ি ও দিঘলিয়া বাজারের দু’টি দোকান ভাংচুর করে। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুর ও মহাশ্মশান কালিবাড়ি মন্দির সামান্য ক্ষতি করে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওইদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।