বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার বিরামপুর উপজেলায় পটলের আশাতীত ফলন হয়েছে। খুচরা বাজারে পটল ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রির আশায় আড়ৎদারগণ শতশত মন পটল রাজধানীতে চালান করছেন। উপজেলার মনিরামপুর দাশআড়া গ্রামের পটল চাষী সোলায়মান আলী জানান, অন্যান্য বছর বর্ষকালে বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ পঁচে নষ্ট হয়ে যেত। তবে এবার বর্ষায় বৃষ্টি কম হওয়ায় পটল গাছের কোন ক্ষতি হয়নি। ফলে প্রতিটি চাষীর ক্ষেতে আশাতীত ভাবে পটলের ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে পটলের ব্যাপক আমদানী হওয়ার ফলে বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিমন পটল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বেচা-কেনা চলছে। এই পটল স্থানীয় হাট বাজারে খুচরা প্রতি কেজি ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি আড়ৎদার জামাল হোসেন জানান, বিরামপুর বাজার থেকে পটল কিনে রাজধানীর পাইকারি বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে বিরামপুর এলাকার অন্যান্য সবজির সাথে বিপুল পরিমাণ পটল রাজধানীতে চালান করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিরামপুর পাইকারি হাটে আড়ৎদারগণ কৃষকদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ পটল কিনে রাজধানীতে চালানের উদ্দেশ্যে বস্তা ভর্তি করেছে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, উপজেলার পৌর এলাকা এবং মুকুন্দপুর, কাটলা, জোতবানী ও পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নে বর্তমান মৌসুমে ১১০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য সবজির তুলনায় এবার পটলের আশাতীত ফলন হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কমে গেছে।