‘ভবিষ্যতে কী হবে দেখা যাবে’ কিংবা ‘ভবিষ্যত নিয়ে ভেবে লাভ নেই’- অনেকেই ভবিষ্যত সম্পর্কে এমন ধ্যান ধারণা পোষণ করেন। তবে বিপদ কখন কোন দিক দিয়ে আসবে তা কারও জানা নেই। এজন্য অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি রাখা উচিত। না হলে প্রয়োজনের সময় কারো কাছে হাত পেতেও হয়তো লাভ হবে না। অনেকেই আছেন যারা প্রতিমাসে যা উপার্জন করেন তার সবটুকুই খরচ করে ফেলেন। কোনো অর্থই তারা ভবিষ্যতের জন্য জমাতে পারেন না।
আবার অনেকে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমানোর ৫ কৌশল- >> কোথায় কত খরচ হচ্ছে দৈনিক হিসাব কষে রাখুন একটি খাতায় বা ফোনের নোটপ্যাডে। তাহলে প্রতিমাসের নির্দিষ্ট খরচের পর কত টাকা আপনি বাড়তি খরচ করছেন আর কতটা অ্যাকাউন্টে থাকচে তার হিসাব রাখতে সুবিধা হবে।
>> ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করুন। তরল অর্থ খরচ হয় বেশি। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা মানে খরচের কোনও হিসাব না রাখা। তাই নিজেকে সংযত করুন আর ক্রেডিট কার্ড দূরে রাখুন।
>> বেতন পাওয়ার পরপরই কিছুটা টাকা সরিয়ে রাখুন। বাকি টাকা হিসাব করে খরচ করুন। রেখে দেওয়া টাকা প্রয়োজন না হলে একেবারেই খরচ করবেন না। >> যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাদের বেশিরভাগই বাইরে খাবারের পেছনে অনেক টাকাই খরচ করেন দৈনিক। ওই টাকা বাঁচিয়ে ঘরের খাবার খান। প্রতিদিন বাইরের খাবার খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
>> বর্তমানে সবার মধ্যেই অনলাইন শপিংয়ে আগ্রহ বেড়েছে। এক্ষেত্রে দরকার ছাড়াও অনেক কিছু কেনাকাটা করে ফেলেন কমবেশি সবাই। এতে অনেকটাই অর্থ খরচ হয়ে যায় প্রতিমাসে। তাই কেনাকাটার হাত কমান। তাহলে কিছুটা টাকা সহজেই জমাতে পারবেন।