গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলামটরে অবস্থিত দেশ রূপান্তর কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান দেশ রূপান্তরের সহকর্মীরাসহ অন্যান্যরাও জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দেশ রূপান্তর কার্যালয়ে মরহুমের প্রথম জানাজা শেষে ২য় জানাজার জন্য মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত হাবিবের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। অমিত হাবিবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য,দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক অমিত হাবিব মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। দেশ রূপান্তরের প্রধান প্রতিবেদক উন্মুল ওয়ারা সুইটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ জুলাই বিকেলে রাজধানীর পান্থপথের বিআরবি হাসপাতলে ভর্তি করা হয় সাংবাদিক অমিত হাবিবকে। তাকে নেওয়া হয় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)।
১৯৬৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঝিনাইদহে জন্ম সাংবাদিক অমিত হাবিবের। দৈনিক দেশ রূপান্তরের আগে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। এরও আগে দৈনিক সমকালের প্রধান বার্তা সম্পাদকের পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে প্রতিবেদক ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সাব-এডিটর পদে যোগ দেন। পরে ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় সিনিয়র সাব-এডিটর হয়ে যোগ দেন। এর পরের বছর একই পদে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে। অল্প দিনের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন তিনি।
২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন খ্যাতিমান এই সাংবাদিক। তবে পত্রিকাটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে বেইজিংয়ে কর্মরত থাকা অমিত হাবিব দেশীয় সাংবাদিকতার সঙ্গে দূরত্বের কথা বিবেচনায় তা ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি।