টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা র মুশুদ্দি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর নিজ গ্রাম আগাম জাতের শীতকালীন সবজি শিমের চাষ করছেন কৃষক ফলন কম হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা স্থানীয় কৃষক মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন ৮০ থেকে ১০০ টাক দরে আমরা এই শিম বিক্রি করি। তবে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কৃষকদের লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকের দোকানে। ধনবাড়ী কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ আহম্মেদ কাছ থেকে জানা যায়, চলতি বছর ধনবাড়ী উপজেলা মুশুদ্দি গ্রামের আগাম জাতের শিম চাষ হয়েছে প্রায় পাখি খানিক জমিতে। আগাম বলে এতে রোগবালাই এর আক্রমণ বেশি হওয়ার কারনে প্রায়ই পর্যবেক্ষণে আসি আর এখান থেকে উৎপাদিত শিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সরেজমিনে মুশুদ্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা মিলবে মুশুদ্দি গ্রামের মাঠে মাঠে এমণি শিমের দৃশ্য। একটু বেশি লাভের আশায় ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের শিম চাষ করে আসছে বহুদিন যাবত। তবে শিমে দেখা দিয়েছে ডগা পচা, সিদলা ও ছিদ্রকারী রোগ। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। তাদের লাভের বেশির ভাগ অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকের দোকানে। তবে এখন ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ- ফরিদ আহম্মেদ এর পর্যবেক্ষণে অনেকটা কমে গেছে রোগবালাই এর আক্রমণ। তাই এই মৌসুমে লাভ ভালোই হতে পারে বলে জানান অনেক কৃষক। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় তারা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। শীতকালীন আগাম জাতের শিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তারা। আর প্রতি বিঘায় বর্তমানে ৪ থেকে ৫ মণ ফলন হবে। কিন্তু পরে তা বেড়ে ৮ থেকে ১০ মণ হবে। কৃষি অফিস বলছে শীতকালীন আগাম জাতের সবজি শিম লাভজনক ফসল হলেও বিভিন্ন পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। যারা পরামর্শ চাইছে কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের কীটনাশকের দোকানে না গিয়ে সরাসরি কৃষি অফিসে অথবা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।