প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি থেকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষের ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর সঠিক সময়ে তথ্য না পাঠানোর কারনে উপবৃত্তির সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় উপবৃত্তি বাস্তবায়িত করে পাওয়ার দাবিতে ২ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় যাদুরচর কলেজের মাঠে এক মাবনবন্ধন করেছে ওই কলেজের শির্ক্ষাথীরা। উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির দ্বন্দে উপবৃত্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত কলেজের শির্ক্ষাথীরা। অভিভাবকরা বলেছেন কমিটির সঙ্গে অধ্যক্ষ এর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানান। তারা আরোও বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব থাকা কালিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য না পাঠানোর কারনে এঘটনা ঘটে। এতে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর প্রায় ১৯ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দারিদ্রপীড়িত ও পিছিয়ে পড়া এলাকা বিবেচনা করে সরকার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাকে শতভাগ উপবৃত্তির আওতাভুক্ত করেন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ১৬৯জন শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপবৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও দায়ীত্বরত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সঠিক সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য না পাঠানোর কারনে উপবৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সচেতন মহল বলেন, গর্ভঃনিং বডির ক্ষমতার অপব্যবহার ও রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষকে অবৈধভাবে সাময়ীক বরখাস্ত ও অবহেলার কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র অনলাইনে তথ্য না পাঠানোর কারনে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শির্ক্ষাথী রাজু আহম্মেদ, শাহানাজ পারভীনসহ আরও অনেকেই। এবিষয় যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি নয়। তবে আমি গত ১৩ মার্চ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। পরে কিভাবে এতোগুলো শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে এটা বর্তমান দায়িত্ব থাকা অধ্যক্ষই বলতে পারবে। বর্তমান দায়িত্বরত কলেজের অধ্যাক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির কাগজ জমাদানের সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। কলেজ কমিটি আমাকে অবৈধ ভাবে সাময়ীক বরখাস্ত করেছিলেন। আমি হাইকোর্ট থেকে বরখাস্ত মামলার মাধ্যমে খারিজ করে আনলেও আমাকে সময়মত দায়িত্ব নিতে বাধা গ্রস্থ হয়েছি। উপবৃত্তির শেষ সময়ে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দায়িত্ব নেই। সে সময় উপবৃত্তির তথ্য পাঠানোর সময় ছিল না।