মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ফুঁসে উঠছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা

শ. ই. সরকার জবলু মৌলভীবাজার :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

মৌলভীবাজারে মনু প্রকল্পের আওতাধীন কাউয়াদীঘি হাওরের পানি নিষ্কাষন পাম্প চালু না রাখায় ফুঁসে উঠছেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির কৃষকরা। সম্প্রতি জেলা শহরে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়ার পর কোন প্রতিকার না পেয়ে ৬ আগষ্ট শনিবার দুপুরে আবার মানববন্ধন করেন তারা। হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনুর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদের সঞ্চালনায় মৌলভীবাজার চৌমোহনা চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় বক্তব্য দেন হাওর অঞ্চলের ভুক্তভোগী কৃষকগণ, হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তারা কাউয়াদীঘি হাওরের এ দুর্ভোগ নিরসনে প্রশাসনকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার দাবি জানান। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও সারের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি তুলেন তারা। বক্তারা বলেন, কাউয়াদিঘী হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও মৌলভীবাজার-রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কে নবনির্মিত নীচু মানের ভুরভুরি সেতু অপসারণ করে আবার উচু কাঠামোয় নির্মাণের দাবী জানান তারা। উল্লেখ্য- মনূ সেচ প্রকল্পের অধীনে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিস্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষে ১৯৭৫-৭৬ সালে এই পাম্পটি নির্মাণ করা হয়। পাম্পের ৮টি মেশিনের প্রায় ৬টি অচল হওয়াতে সরকার ২০১৬ সালে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্পটির নতুন করে কাজ শুরু করে। এসময় ৩৫ কোটি টাকার লোঠপাট করা হয়। ওই সময়ে দূদকের দেয়া মামলায় মৌলভীবাজার ও ঢাকা’র সংশ্লিষ্ট ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এক প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সময়ের সাথে পাম্পটিতে চাহিদা মত বিদ্যুত সরবরাহ না করায় পাম্পটি থেকে শতভাগ পানি নিষ্কাষন সম্ভব হচ্ছেনা। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, রোপা আমন চাষাবাদ করতে তারা জমি পুরোপুরিভাবে আবাদ করলেও হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিংহভাগ চারা রোপণ সম্ভব হচ্ছেনা। এসময় তারা বলেন, কাউয়াদীঘি হাওর থেকে প্রচুর পরিমান মাছ চাষাবাদ করতে কিছু রাগব-বোয়ালের কারণে পানি সেচ করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন বলেন, হাওরে পানি বৃদ্ধির কারণে রোপা আমন চাষাবাদে বাধা সৃষ্টি করছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com