‘বিল্ডিং এ ফ্রিলি কানেক্টেড ফিজিক্যাল অ্যান্ড ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড ওয়ার্ল্ড: সিক্স-জি সার্ভিসেস, ক্যাপাবিলিটিস অ্যান্ড এনাবলিং’ শিরোনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে ভিভো কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে সিক্স-জি কর্মকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ২০৩০ সালের পরে মানুষের জীবনকে কীভাবে পাল্টে দেবে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
ভিভো কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট কিন ফি বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে আমরা ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে ফাইভজি স্মার্টফোনগুলোকে তাদের সাধ্যের মধ্যে রেখেছি এবং সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের কথাও ভাবছি। তিনি আরো বলেন, আরওডি-এর প্রথমদিকে আমরা জানার চেষ্টা করেছি যে সিক্স-জি সেবার স্বরূপ কেমন হতে পারে এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমাদের কী ধরনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জন করা দরকার।
সিক্স-জির মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ ও এর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে এসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ভিভো কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
পরিষেবা ও সক্ষমতা: শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে যে, সিক্স-জি সুপার কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন এবং কনভার্জড কম্পিউটিং সেবা প্রদান করবে যা এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলবে, যা হবে পরস্পর সংযুক্ত এবং বাহ্যিক ও ডিজিটাল উভয় দিককে করবে সম্পৃক্ত। সিক্স-জি একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসবে যোগাযোগ, গণনা ও সেন্সিং কার্যক্রমকে। একটি সমন্বিত সিক্স-জি নেটওয়ার্ক শুধু মানুষকে মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করবে না বরং এটি মানুষকে মেশিনের সঙ্গে বা মেশিনকে মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ডিজিটাল বিশ্ব গড়ে উঠবে। ২০৩০ সালের মধ্যে কোটি কোটি ডিভাইস এই সেবার আওতায় আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ভিভোর ফাইভজি স্ট্যান্ডার্ড বিশেষজ্ঞ রাকেশ তামাকর বলেন, সিক্স-জি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়িয়ে দেবে। শিল্প-কারখানা, পরিবহণ, বসতবাড়ি এমনকি সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে সিক্স-জি। পেশাদার ক্ষেত্র থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় দারুণ কাজে আসবে এই প্রযুক্তিটি। এর মানে পিক ডাটা রেট এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সড ডাটা রেট, কমিউনিকেশন ডিলে এবং এরিয়া ট্রাফিক ক্যাপাসিটির মতো প্রতিটি পারফরম্যান্স ফাইভজির তুলনায় অনেক বেশি উন্নত করতে হবে। সিক্স-জি সক্ষম প্রযুক্তি মানে চাহিদা, প্রযুক্তি এবং ব্যায়ের দিকটি বিবেচনার পাশাপাশি এর কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তার সন্নিবেশ।
প্রযুক্তিগত সক্ষমতা: নতুন সিক্স-জি সেবার জন্য নতুন নেটওয়ার্কিং ফাংশন চালু করতে হবে। সিক্স-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক কম্পিউটিং, ক্রস-ডোমেন ডটা ইন্টারঅ্যাকশন এবং নেটিভ এআই নেটওয়ার্ককে একত্রিত করবে। তাই এজন্য একটি ব্র্যান্ড-নিউ সিস্টেম আর্কিটেকচার ডিজাইন প্রয়োজন। সিক্স-জি প্রযুক্তির মান নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ভিভো কমিউনিকেশনস রিসার্চ ইনস্টিটিউট গবেষণা ও পরীক্ষামূলক যাচাই-বাছাই করছে। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ভিভো কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফাইভজি প্রযুক্তি এবং এর মান উন্নয়নের উপর জোর দেয়। এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউটটি থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্টে ৮ হাজারের বেশি ফাইভজি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি প্রযুক্তিগত ফিচার এবং তিনটি প্রযুক্তিগত প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।