শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়েছে। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ খবর জানিয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেন ড. ইউনূস। এর আগে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসাথে এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়। আপিল বিভাগের আদেশে রুল শুনানি শেষে খারিজ করে দেন আদালত। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।