ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজারের মল্লিকপুর রোডে প্রায় ২০ বছর যাবৎ পাটকাঠির হাট বসে। এই হাটে ১৫ থেকে ২০ জন পাটকাঠি ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবসা করে আসছেন। এদের অনেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকের নিকট থেকে পাটকাঠি কিনে তা হাটে তোলেন বিক্রির জন্য। মান ভেদে এই পাটকাঠির দাম নির্ধারণ করে থাকেন এইসব ব্যবসায়ীরা। মূলত কাউন ও মন হিসেবে এই হাটে পাটকাঠি বিক্রি করা হয়। প্রতি কাউন পাটকাঠি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং প্রতিমন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করে ব্যাবসায়ীরা।বাংলা আষাঢ? মাসে পাটকাঠি ব্যবসার মূল সময় হলেও সারা বছরই এই হাটে পাটকাঠি কেনাবেচা হয়। মূলত পাটকাঠির একটা বড় ক্রেতা হলেন পান চাষীরা।কারণ পান চাষের জন্য বরজ তৈরিতে অনেক পাটকাঠির প্রয়োজন হয়। সরোজমিনে পাটকাঠির হাটে গিয়ে কথা হয় ব্যাবসায়ী সুলতান,ইকবাল মুন্সি,জালাল,বলায় ও বাবুল বিশ্বাস এর সাথে। তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাটে পাটকাঠির ব্যবসা করছি। এ বছর নতুন পাটকাঠি হাটে কম উঠেছে। তাছাড়া বেচাবিক্রিও কম।অবশ্য কৃষকরা এবছর পাট ঠিকমত পানিতে জাগ দিতে পারেনি। এই কারণে এখনও পাঠকাঠি হাটে সেভাবে উঠতে দেখা যাচ্ছে না।এসময় পাটকাঠির এই হাটে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে আসা রহিম মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পাটকাঠি কিনতে দেখা যায়। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বাড়িতে জ্বালানির কাজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি কিনতে হাটে এসেছি। দেখেশুনে পাঠকাঠি কিনে বাড়ি ফিরে যাব।এখানে পাটকাঠির হাট হওয়ায় মান যাচাই করে আমরা কিনতে পারি। কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান,অত্র অঞ্চলের একমাত্র পাটকাঠির হাট হলো কোলা বাজারে।আশপাশের এমনকি যশোর ও মাগুরা অঞ্চলের ক্রেতারাও এ হাটে আসেন পাটকাঠি কিনতে।হাটটির সুরক্ষায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সবসময় যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকি।
অঃঃধপযসবহঃং ধৎবধ