রামপ্রবেশের এই আচরণে বেজায় চটেছেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। তাদের আবার অন্য চিন্তা। তাদের দাবি, একেবারে গ্রামের মাঝখানে রয়েছে তালগাছটি। তার উপরে চেপে বসেছেন রামপ্রবেশ। ওপর থেকে সব দেখতে পাচ্ছেন রামপ্রবেশ। এতে কারোর ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকছে না। স্ত্রীকে ভয় পায় না এমন মানুষ নাকি বিরল। কিন্তু ভয় বলে এমন ভয় যে তাল গাছে উঠে থাকতে হবে? বাঘ, ভাল্লুক নয়, বউয়ের ভয়ে গাছে রাত্রিবাস! গল্পের মতো মনে হলেও এমনটাই হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মাউ জেলার কোপাগঞ্জ এলাকায়। আর ওই রামপ্রবেশ এখন এলাকার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন। সূত্রের খবর গত এক মাস ধরে তিনি ১০০ ফুট উঁচু তাল গাছে বাস করছেন। রামপ্রবেশ শুধু তালগাছে ডেরা বেঁধেছেন এমনটাই নয়, আত্মরক্ষার জন্য ইট পাটকেলও জড়ো করেছেন গাছের মাথায়। কেউ তাকে বোঝাতে গেলে ওপর থেকে গেরিলা হানা চলছে। মাঝেমধ্যে তিনি গাছ থেকে নেমে আসেন। ইট পাটকেল কুড়িয়ে ফের গাছে উঠে পড়েন তিনি। কিন্তু রামপ্রবেশের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? রামপ্রবেশের বাবা বিষ্ণুরাম জানান, রোজ বৌমা ছেলেকে মারধর করত। ঝগড়া লেগেই থাকত ওদের। দজ্জাল বউয়ের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে গত এক মাস ধরে তালগাছে বাস করছে ছেলে। পরিবারের লোকজন খাবার, জল দড়িতে বেঁধে দেন। রামপ্রবেশ তা গাছের মাথায় তুলে নেন। গাছেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তবে রাতের দিকে মাঝেমধ্যে তিনি নিচে নামেন। মূলত মলত্যাগ করার জন্যও তাকে নিচে নামতে হয়। তবে রামপ্রবেশের এই আচরণে বেজায় চটেছেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। তাদের আবার অন্য চিন্তা। তাদের দাবি, একেবারে গ্রামের মাঝখানে রয়েছে তালগাছটি। তার ওপরে চেপে বসছেন রামপ্রবেশ। ওপর থেকে সব দেখতে পাচ্ছেন তিনি। এতে কারোর ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকছে না। ওপর থেকে রামপ্রবেশ উঁকি দিচ্ছে না এমনটা নিশ্চিত করবে কে? এমনকি পুলিশও তাকে বুঝিয়ে তাল গাছ থেকে নামাতে পারেনি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস