কিরণ দেশাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক। তিনি তার ‘দ্য ইনহেরিটেন্স অফ লস’ উপন্যাসের জন্য ২০০৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার এবং ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল ফিকশন পুরস্কার লাভ করেন।
প্রাথমিক জীবন: কিরণ দেশাই ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের চন্ডিগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা অনিতা দেশাই একজন সাহিত্যিক। তিনি তিনবার ম্যান বুকার পুরস্কার এর জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসেন। কিরণ দেশাই অনিতা দেশাইয়ের চার সন্তানের একজন। কিরণের শৈশব কাটে পুনে ও মুম্বাইতে। তিনি ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুল এ পড়াশুনা করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি ও তার মা ভারত ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং এক বছর পরে তিনি তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে কিরণ বেনিংটন কলেজ, হলিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৃজনশীল রচনা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। সেই সময়েই লেখালেখির দিকে বেশি ঝুকে পড়েন তিনি। প্রথম উপন্যাস লেখার জন্য দু’বছরের শিক্ষাবিরতি নেন।
সাহিত্যজীবন: কিরণের প্রথম উপন্যাস হুলাবালু ইন দ্য গুয়াভা অর্চার্ড ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটি লিখতে তার সময় লেগেছিল চার বছর। সালমান রুশদির মত খ্যাতনামা সাহিত্যিক তার এই উপন্যাসের প্রশংসা করেন। এই বইয়ের জন্য বিটি ট্রাস্ক পুরস্কার অর্জন করেন। তার দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য ইনহেরিটেন্স অফ লস ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। বইটি এশিয়া, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত হয়। এই উপন্যাস রচনার জন্য তিনি ২০০৬ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার এবং ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল ফিকশন পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৭ সালের মে মাসে এশিয়া হাইজ ফেস্টিভাল অফ কোল্ড লিটারেচার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে ফিচার সাহিত্যিক করা হয়। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি বিবিসি বেতার ৩ এ মাইকেল বার্কলির উপস্থাপনায় জীবনীমূলক সঙ্গীতালাপ অনুষ্ঠান প্রাইভেট প্যাশন্স-এ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন। ২০১১ সালে তিনি এবং অরহান পামুক শ্রীলঙ্কার গল সাহিত্য পুরস্কারে আমন্ত্রিত হলেও পরে তারা সেই উৎসব থেকে নাম প্রত্যাহার করেন। ২০১৩ সালে বার্লিনে মার্কিন একাডেমিতে বার্লিন পুরস্কারের ফেলোশিপ লাভ করেন।
সাহিত্যকর্ম: হুলাবালু ইন দ্য গুয়াভা অর্চার্ড (১৯৯৮),দ্য ইনহেরিটেন্স অফ লস (২০০৬)
পুরস্কার: ম্যান বুকার পুরস্কার, ২০০৬ ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল ফিকশন পুরস্কার, ২০০৬
কিরণ দেশাইয়ের বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে লেখালেখি পুরোদমে চালিয়ে যাওয়া। গরিব একটি দেশ থেকে লোক নিয়ে ধনী কোনো দেশে স্থানান্তরিত করলে কি ঘটবে। দুই বিশ্বের পরিবর্তনের বিষয়গুলোর সঙ্গে ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনার সামঞ্জস্যতার বিষয়টি কেমন করে ঘটবে – এ বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে চান কিরণ দেশাই। তবে তার লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের আবহ উঠে এসেছে বারবার। সূত্র: উইকিপিডিয়া