বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘একটি ভালো বাংলাদেশ গড়তে যা যা করা দরকার’ জনগণের দল হিসেবে বিএনপি তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। গতকাল শনিবার বিএনপি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে এই সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশাহারা। বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে নির্যাতনের ভয়াবহ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যা, মামলা-হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির ৩৬ লাখের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মামলা-হামলা ও নির্যাতন করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি’র এই নীতিনির্ধারক বলেন, ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কোথায় উন্নয়ন? দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। মেগা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত টাকা দেশে রেখে কিভাবে সামলাবে, তাই বিদেশে পাচার করছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান সব সঙ্কট থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে বিনা ভোটের এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এদের বিদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছেন বিএনপি নাকি আগুন-রক্ত নিয়ে খেলছে। অতীতে রাজপথে রক্ত ঝরানো ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনই সফল হয়নি। ’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১ ও ৯০-এ আমরা তা দেখেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনেও রাজপথে রক্ত ঝরছে। এই রক্ত বৃথা যাবে না। তীব্র আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি আবু ইউনুসের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ হোসেন ঠাকুর, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের শহীদুল ইসলাম সরকার, ডা. মজিবুর রহমান, এম কাদের নোমান প্রমুখ।