খুলনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মহসেন জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। গত রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। মহসেন জুট মিলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রতীকী অনশন থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে নগরীর ফুলবাড়ী গেটে শ্রমিকদের জনসভা শেষে খুলনা-যশোর মহাসড়কে থালা-বাটি হাতে নিয়ে ভুখা মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচি থেকে রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
অনশন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি পাট, সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেক, সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, আমির মুন্সি, আইনউদ্দিন প্রমুখ।
অনশন চলাকালে শ্রমিক নেতারা বলেন, মহসেন জুট মিলের মালিক জুট মিল দেখিয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরপর সে টাকা অন্য খাতে ব্যয় করেন। আর শ্রমিকরা তাদের গ্র্যাচুইটি, পিএফ ও মজুরির জন্য দীর্ঘ ৯ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মিল থেকে রাতের আঁধারে মালপত্র বের করে নিচ্ছে। তারা বলেন, সরকারি জুট মিল বন্ধ করার কিছুদিন পর শ্রমিকদের পাওনা একসঙ্গে পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ বছরের পর বছর বেসরকারি জুট মিল মালিকরা তাদের কারখানা বন্ধ ও শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ অবস্থায় তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিল কাজী শরবত পান করিয়ে শ্রমিকদের অনশন ভাঙান। এ সময় তিনি শ্রমিকদের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট মহলকে উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান। অনশন কর্মসূচি শেষে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন শ্রমিক নেতারা।