খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের কোথাও সারের সংকট নেই। তিনি বলেন, সারের সংকট আছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা সময় মতো সার পাচ্ছেন এবং পর্যাপ্ত পরিমান সার মজুত আছে।
মন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর জেলার মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু কমেছে চাষের জমির পরিমান। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তারা একাধিক বস্তা সার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।’
মন্ত্রী বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয় সেজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশের কোথাও সারের কোন সংকট নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সার, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাথে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যেই এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। সাইলোর নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান হবে। সাইলোতে দু’বছর পর্যন্ত চাল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীর আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।