করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাধারণত দেশগুলোর সরকার ও জনগণের মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত চুক্তি রয়েছে। সুতরাং শক্তিশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যখন করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞাগুলো ভঙ্গ করে, তখন তা জনগণের তীব্র ক্ষোভকে উসকে এবং সমাজের অসমতাগুলোকেও উদোম করে দেয়। ৮০ জনের সঙ্গে রাজনৈতিক গলফ সোসাইটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে আয়ারল্যান্ডের করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার ফিল হোগান বুধবার পদত্যাগ করেছেন। আয়ারল্যান্ডের কৃষিমন্ত্রী দারা ক্যালারি এরই মধ্যে তথাকথিত গলফগেট কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগ করেছিলেন। আগের ৫০ জনের থেকে জনসমাগম ছয়জনে নামিয়ে এনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের একদিন পরই তিনি নৈশভোজটিতে অংশ নিয়েছিলেন।
পরিবারকে সমুদ্রসৈকতে নিয়ে গিয়ে দেশটির স্টে অ্যাট হোম নির্দেশনা অমান্য করায় নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন ইভেন্টগুলোতে সামাজিক দূরত্বকে ব্যাপকভাবে অবহেলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি শুনতে হোয়াইট হাউসের লনে হাজারের বেশি লোক জড়ো হয়েছিল, তাদের মধ্যে কিছু মানুষ পরস্পরের খুব কাছাকছি বসেছিল। এই উদাহরণগুলো বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে জনগণের আগ্রহে স্থায়ী প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুসান মিচি। তিনি বলেন, এ জাতীয় উদাহরণগুলোর একটি প্রভাব আছে, বিশেষত অল্প বয়স্ক যুবকদের ওপর, যাদের নিয়ম মেনে চলার সম্ভাবনা কম। আমরা জানি যে আনুগত্য রক্ষার ক্ষেত্রে আস্থা ও হূদয়ঙ্গম করা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস হারানো সহজ, তবে গড়ে তোলা খুব কঠিন। সিএনএন