“মা ইলিশ ধরব না, দেশের ক্ষতি করব না” মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২২ইং উপলক্ষে ২২ দিন ব্যাপী মা ইলিশ ধরা বন্ধ করণের লক্ষ্যে বদরখালী নৌ-পুলিশের জনসচেতনতা মূলক সভায় চট্টগ্রাম জেলার নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দীন পিএম (বার)। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজারের মহেশখালীর লাগোয়া পূর্বপার্শ্বে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে আমাগী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর ২২দিন ব্যাপী মা ইলিশ ধরা বন্ধ করণের লক্ষ্যে নৌ-পুলিশের আয়োজনে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম নিজাম উদ্দীন পিএম (বার)। উক্ত জনসচেতনতা মূলক সভা বদরখালী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ নাছির উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিতিব্য সভায় বক্তারা ২২ দিন মা’ ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরার বন্ধের আদেশ মানার নির্দেশ দেন। এসময় একটি মা’ ইলিশ ৫০-৬০ লক্ষ ডিম ছাড়েন বলে মন্তব্য করেন। এমন কি আগেকার দিনে আড়াই শ’ গ্রাম, পাঁচ শ’ ও এক কেজির ওজনের ইলিশ পাওয়া অসম্ভব। তবে বর্তমানে দু থেকে তিন কেজির ওজনের ইলিশ জেলেরা আহরণ করে প্রতিনিয়ত বাজারজাত করেন। ফলে মানুষের চাহিদাও মিটায়। তাঁরা আরো বলেন, ৬৫ দিন এবং ২২ দিন বন্ধের ফলে সাগর, নদী ও খালে মাছের প্রজনন প্রচুর হারে বাড়বে। তাই সরকারের নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন অতিথিরা। সভা শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সকলকে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট প্রদান করেন। এতে বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার। আরো উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তানজির আহমদ, কোস্টগার্ড প্রতিনিধি, বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সমবায় সমিতির পরিচালক, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ মাছ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা।