প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশের যেকোনো সময়ে পাশে ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরের পর আমরা যখন দিল্লিতে ছিলাম, তিনি ও তার পরিবার সব সময় আমাদের দেখাশোনা করেছেন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু বিষয়ে যখন দুর্নীতির কথা উঠলো আমার বিরুদ্ধে এবং ওয়ান/ইলেভেনের সময় তিনি আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।’ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির কথা ওঠে তখন প্রণব মুখার্জি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ওয়ান/ইলেভেনে জেলখানায় যখন ছিলাম তখনো তিনি আমাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। যেকোনো বিপদে তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।’
সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয়া আছে। তাছাড়া আমরা সরকারে আছি। জনগণের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। যেভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিষয়ভিত্তিক সবাইকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে জাতির কাছে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সে প্রতিশ্রুতি কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বাকি আছে সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা সরকারে আছি সে কারণে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। এবার এসে আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীতে যারা আছেন তারা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করবেন। যে আলোচনা আমাদের দেশ গড়ার কাজে লাগবে। আমরা বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই।’