এক সপ্তাহে ভারতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে বিশ্বের আর কোনো দেশে এত রোগী শনাক্ত হয়নি। এর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক শতাংশ বেড়েছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ৩ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে গোটা বিশ্বে নতুন করে আরও ১৮ লাখ মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার এক চতুর্থাংশের বেশি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে আসা ভারতে কেবল গত মাসেই প্রায় ২০ লাখ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মোট সংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখ। এ ছাড়া গত মাসে আরও ২৮ হাজারের বেশি নিয়ে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৬ হাজারের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
অতিসংক্রামক ভাইরাসবাহিত এই রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়। এ পর্যন্ত যতজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে তার অর্ধেকের বেশি এই দুই মহাদেশে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে বলছে, কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ কমেছে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের। আগস্টে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছ এই সংখ্যা আগের মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি। বিশ্বে করোনায় শীর্ষ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও গত আগস্টে দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ৪৭ হাজার। এর মধ্যে ভারতে শুরু যাচ্ছে আনলক-৪। স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল ও জিমনেশিয়াম ছাড়া সবই ফের সচল হচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকে। মার্চে কঠোর লকডাউন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভারতের সংক্রমণের গতি ছিল অনেক কম। কিন্তু লকডাউন বিধিনিষেধগুলো শিথিল হতে শুরু করলে তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই।
গত বছরের শেষদিকে চীনের উহানে প্রথমবার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় সব দেশে বিস্তার ঘটিয়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রাণ হারিয়েছেন ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৫ জন মানুষ। সংক্রমণ বাড়লেও বিশ্বজুড়ে শিথিল বিধিনিষেধ।