দীর্ঘদিন পর আবারও একসঙ্গে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হক অর্ষা। অপূর্ব এখন টেলিভিশনে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করলেও অন্যদিকে অর্ষার ব্যস্ততা এখন ওটিটিকে ঘিরে। যার কারণে এ দুজনকে অনেকদিন একসঙ্গে কোন কাজে দেখা যাচ্ছিলো না। অবশেষে জুটি বেঁধেছেন তারা।
সদ্য রাজধানীর উত্তরায় শেষ হলো নাটকটির শুটিং, নাম ‘সে চুলও বাঁধে’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুরসালিন শুভ। এ নাটকের মধ্য দিয়ে ৩ বছর পর অপূর্বর সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘সাবরিনা’ খ্যাত তারকা অর্ষা। এই জুটি সর্বশেষ কাজ করেছিলেন ২০১৯ সালে, ‘এক হৃদয়হীনা’ টেলিছবিতে; যেটি পরিচালনা করেছিলেন শিহাব শাহীন।
নাজিয়া হক অর্ষা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘বেসিক্যালি ইটস বেইজড অন উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট। গল্পটা খুবই চমৎকার। সমাজে একজন কর্মজীবী নারীর কর্ম পরিবেশ কেমন হয়, সেসব নিয়ে গল্পটা এগুলেও এখানে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। গল্পটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ হলো, আমরা অনেক সময় অনেক ভুল করে থাকি, ভুলের পর যখন কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তখন আমাদের ভুলটা আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। যার কারণে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হই। এরকম অনেক বিষয় রয়েছে গল্পটাতে যেটা আমাদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ঘটে।’
অপূর্বর সঙ্গে এর আগে প্রায় দশটির মত নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন অর্ষা। এরপর বিভিন্ন সময়ে কাজের থাকলেও ব্যস্ততার কারণে তা আর শুটিং ফ্লোরে গড়ায় নি। ‘সাবরিনা’ খ্যাত এই তারকা বলেন, ‘অপূর্বর সঙ্গে আমার বেশ কিছু কাজই করা হয়েছে এবং সেগুলো দর্শক পছন্দও করেছেন। এরমধ্যে আমাদের দুটি কাজের বিষয়ে কথা হলেও ওটিটির কাজের ব্যস্ততার কারণে আমি সময় দিতে পারিনি। যার কারণে ‘এক হৃদয়হীনা’র পর আমাদেরকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। এই গল্পটি ভালো লাগা তারপর সময় মিলে যাওয়ায় কাজটি করতে পেরেছি এবং কাজটি করে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।’
অর্ষা যোগ করে আরও বলেন, ‘অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সবসময় দারুণ। তিনি এত দুর্দান্ত একজন শিল্পী এবং এতটা বিনয়ী, যার সাথে কাজ করতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। উনার একটা গুণ আমার সবসময় খুব ভালো লাগে, সেটা হলো উনার বিচক্ষণতা এবং বুদ্ধিমত্তা, সেইসাথে সহশিল্পীকে পূর্ণ সাপোর্ট করা। দেখা গেলো একটা স্ক্রিপ্টের কোন জায়গায় ফ্লস রয়েছে যেটা আমাদের কারও চোখে পড়েনি কিন্তু সেটা তার চোখে পড়েছে। তিনি সেটা কারেকশন করে দেন। অনেক দুর্বল গল্পও শক্তিশালী হয়ে উঠে উনার এই গুণের কারণে। শুধু তাই নয়, একজন নতুন শিল্পী যখন উনার মত শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে নার্ভাস অনুভব করেন তখন প্রথমেই তিনি সে নার্ভাসনেসটা দূর করে দেন; সেটা যে কেউই হোক। তাদের সঙ্গে রিহার্সেল করেন এবং তাদেরকে কমফোর্ট জোনটা তৈরি করে দেন। যেটা খুবই ভালো দিক। এই গল্পটিতে অনেকগুলো মেয়ের চরিত্র রয়েছে, যারা অভিনয় করেছে তাদের কেউই প্রফেশনাল না; একদমই নতুন। কিন্তু অপূর্ব ভাইয়া তাদের সঙ্গে রিহার্সেল করে কমফোর্ট জোন তৈরি করে দিয়েছেন, যেন তারা নার্ভাসনেস কাটিয়ে সহজেই কাজটি করতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে আমি বলবো, তিনি অসম্ভব বিনয়ী একজন অভিনেতা।’ জানা গেছে, খুব শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে এবং ইউটিউবে অবমুক্ত হবে।