রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে জমে উঠেছে ৩ শিক্ষকের ত্রিমূখী লড়াই। প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত ৩ জনই। নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ জেলা পরিষদের ভোটার হলেও সাধারণ মানুষের মাঝেও আলোচনার কমতি নেই। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পারলেও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে ইউপি সদস্যদেরকে ভোট দেওয়া অনুরোধ করছে। অপরদিকে প্রার্থীরা শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নয় হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে। জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড হলো গঙ্গাচড়া উপজেলা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের ভোট হলো ১২০টি। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। এ ওয়ার্ডের সদস্য পদে লড়াই করছেন ৩ শিক্ষক। আর ১ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করে প্রতীক পেয়ে চুপ আছেন। আলমবিদিতর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মমিনুর ইসলাম। মমিন চেয়ারম্যান নামে বেশী পরিচিত। তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও এমপি প্রতিনিধি। এছাড়াও তিনি দৈনিক তিস্তা সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তার সর্বস্তরে রয়েছে ব্যাপক পরিচিত। তিনি ঢোল প্রতীক পেয়ে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। এসেছেন আলোচনায়। আরেক প্রার্থী মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম। সাইদুল মাষ্টার নামে সবার কাছে খুব পরিচিত। তিনি গঙ্গাচড়া হাজী দেলওয়ার হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্নআহবায়ক ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ১নং সদস্য। জেলা পরিষদের গত নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে সামান্য ভোটে হেরে যান। এবারও হাতী প্রতীক নিয়ে জয়ের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী তিনি। অপরজন মোঃ সহিদুল ইসলাম লালচাদপুর খায়রুল উলুম বহুমুখী ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (মৌলভী শিক্ষক)। তিনি সবার কাছে সহিদুল মুন্সী নামেই বেশ পরিচিত। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক পেয়ে থেমে নেই। ভোটার ছাড়াও বিশিষ্টজনের সাথে ৩ জনই কথা বলছেন এবং তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বলার অনুরোধ করছেন। এছাড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান শাফি তালা প্রতীক পেয়েছেন। কিন্তু তিনি দু এক জায়গায় নামমাত্র পোস্টার লাগিয়েছেন, কিন্তু কোন ভোট কামনা করছেন না বলে ভোটাররা জানান। অন্যদিকে ১নং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন প্রার্থী ৩ উপজেলা ছুটে চলছেন ভোট কামনায়। গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে ১নং সংরক্ষিত আসন। সংরক্ষিত আসনে ভোটার সংখ্যা হলো ৩৩৪ জন। এর মধ্যে গঙ্গাচড়ায় ১২০, কাউনিয়ায় ৯৪ ও পীরগাছায় ১২০ জন। গঙ্গাচড়া থেকে হরিণ প্রতীক নিয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষ্যান্ত রানী রায়, কাউনিয়া থেকে সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য সেলিনা খাতুন টেবিল ঘড়ি ও সঙ্গীতা মাইক প্রতীকে এবং পীরগাছা থেকে রোকছানা পারভীন দোয়াত কলম ও দুলালী বেগম বিউটি ফুটবল প্রতীকে লড়াই করছেন। সংরক্ষিত আসনে গঙ্গাচড়া উপজেলার একমাত্র প্রার্থী ক্ষ্যান্ত রানী হওয়ায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তার বেশী। তবে ১৭ অক্টোবর কে পড়বে জয়ের মালা সেটা ভোটাররা নির্ধারন করবেন।