তৃণমূল এবং বিজেপি তাঁকে নিয়ে যতই ঘুড়ি ওড়াক কিংবা কাজিয়া করুক, রাজনীতিতে যে যাচ্ছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তা একরকম নিশ্চিত। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর সভাপতির পদ ১৮ অক্টোবর ত্যাগ করার পর তিনি যাচ্ছেন কোথায়? অনুরাগীদের মনে যখন এই প্রশ্ন দানা বাঁধতে চলেছে তখন বাংলার মহারাজ নিজেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ- সিএবি নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন তিনি। কয়েকবছর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর সভাপতি মনোনীত হওয়ার আগে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এর সভাপতি ছিলেন তিনি। আবার সেই ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে চলেছেন তিনি। ১৮ অক্টোবর বিসিসিআই এর পদ ছাড়ার দিনই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে লড়ার জন্যে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তিনি। এরপর তাঁর পা যে নিশ্চিত ভাবেই আইসিসির চেয়ারম্যানশিপের জন্যে যাবে তা নিশ্চিত করে বলার পরও বলতে হয় কেন সৌরভ বিসিসিআই এর পর আবার বাংলার ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার প্রধান হতে চাইছেন? সৌরভ নিজের মুখেই জানিয়েছেন সেই কথা, আমি বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরছি জেনেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়ানো আরম্ভ করেছেন। আমাকে নাকি বিসিসিআই থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে… আমি নাকি স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছি… পিছনের দরজা দিয়ে আমি বিসিসিআইতে গিয়েছিলাম… ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি এই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার জন্য ও উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য বাংলার ক্রিকেট বোর্ড এর নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি। সৌরভ এর আক্রমণের তীরে যে ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন ট্রেজারার ও বর্তমানের তৃণমূল পুরপিতা বিস্বরূপ দে তা বলাই বহুল্য। বিস্বরূপই সৌরভ বিসিসিআই থেকে সরছেন জেনে সৌরভ বিরোধী একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। শুধু তাই নয়, তিনি সিএবি নির্বাচনে সদলবলে দাঁড়াচ্ছেন এমন ইঙ্গিতও মিলেছে। এখন সৌরভ সিএবি নির্বাচনে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আর কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কিনা সন্দেহ। সেক্ষেত্রে ২২ অক্টোবরই সৌরভ ফের বাংলার ক্রিকেট মসনদে বসবেন। নয়ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে ৩১ অক্টোবর নির্বাচন এর দিন পর্যন্ত। বর্তমান সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সৌরভ এর সঙ্গেই আছেন। তাহলে বাংলার ক্রিকেটে কি সেই পুরোনো জুটি- সৌরভ সভাপতি আর অভিষেক ডালমিয়া সচিব!