শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

লুটপাট, মাস্তানি উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। এই নিজস্ব সংস্কৃতি উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় প্রেরণা দেয়। বাংলাদেশের এমন কিছু নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষায় প্রেরণা দিয়েছে। যেমন নারীর কর্মসংস্থান, মেয়েদের শিক্ষা, শিশু মৃত্যু কমানো—এসব সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে ফল দিয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আকাঙ্ক্ষার গতি প্রেরণা: বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প’ শীর্ষক সেমিনারে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী ও বিআইডিএসের গবেষক মাহির এ রহমান যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধের ওপর বিশেষ বক্তা ছিলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ দেশের গরিব নারীদের সামনে যে ধারণা হাজির করা হয়েছে, তা তারা গ্রহণ করেছেন। যেমন খাবার স্যালাইন শিশুমৃত্যু কমাতে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে ভালো করার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে। তৈরি পোশাক খাতে নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লুটপাট, মাস্তানির মতো বিষয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মূল্যবোধ সম্পৃক্ত আছে। এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারলে উন্নয়ন প্রেরণা গতি পায়।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এ দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়ে সামাজিক উন্নয়ন তুলনামূলক বেশি হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন পাকিস্তানের চেয়ে মাথাপিছু আয় অর্ধেক ছিল। ৫০ বছরের মধ্যেই আমরা তাদের পেছনে ফেলে দিয়েছি। এখন তাদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি মাথাপিছু আয় আমাদের।’
তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী মনে করেন, কয়েকটি সূচক বাংলাদেশের উন্নয়নে গতি এনেছে। যেমন মেয়েদের শিক্ষা তাদের ক্ষমতায়ন করেছে, সমাজে তাদের ভূমিকা বাড়িয়েছে। তাদের আয় বাড়িয়েছে। বিদ্যুতায়ন শুধু আলো দেয়নি, দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব মানুষে মানুষে বন্ধন বাড়িয়েছে। জনসংখ্যা বেশি থাকায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুফল পাওয়া গেছে। আবার স্থানীয় বিনিয়োগও বেড়েছে। এসব কারণে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এসব সূচকই আকাঙ্ক্ষার গতিবেগের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি না হলে মানুষের উত্তরণ হতো না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো খাতে সরকার নীতি ও বিনিয়োগ করেছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা সফল হয়েছে। এসব সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হলে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে যে আকাঙ্ক্ষা আছে, তা পূরণ হবে না। বিনায়ক সেন বলেন, এ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো সরকারের আমলে বিতর্ক হয়নি। প্রায় সব সরকার সামাজিক উন্নয়ন কাঠামো নিয়ে একমত ছিল। এটা উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে ভূমিকা রেখেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com