দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত আলীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে পাসপোর্টযোগে ভারতে গমনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গোলজার হোসেন নামের এক ব্যাক্তি। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি বদিউজ্জামানকে সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গোলজার হোসেন নামের ওই ব্যাক্তি। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিরামপুর উপজেলাধীন ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচীত চেয়ারম্যান রহমত আলী। গত বছরের ১৭ই ডিসেম্বর তার নামে গেজেট প্রকাশিত হয়। চেয়ারম্যান রহমত আলী সরকারের অনুমতি না নিয়েই গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতে গমন করেন। যাহা ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ এর উপধারা (৪) এর (জ) অনুযায়ি তিনি চেয়ারম্যান পদ হতে অপসারন যোগ্য অপরাধ। তাই এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেও তিনি ভারতে থাকাই তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি বদিউজ্জামান বলেন, সে ইউপি চেয়ারম্যান কিন্তু সে পাসপোর্টে তার পরিচয় বদল করে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে গত ১৮ অক্টোবর পাসপোর্ট যোগে ভারতে গিয়েছেন। আজ শনিবার ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেননি। আজকে এবিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি সেই বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। যদি কেউ পেশা পরিবর্তন করে সেটি তার ব্যাক্তিগত অপরাধ। এবিষয়ে ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষের করনীয় কিছু নেই এবিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বা জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিবে। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউপি চেয়ারম্যান যে ভারতে গিয়েছে সেই বিষয়টি আমার জানা নেই বা আমাকে অবহিত করা হয়নি। আমার জানামতে যেহেতু সে চেয়ারম্যান সেক্ষেত্রে তার ভারতে গমনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর উনি যে অফিশিয়ালি নেই সেটিও আমার জানা নেই।