বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ রুটে নৌচলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সেখানে থাকা চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিকেল একটি জাহাজ তাদের নিয়ে কক্সবাজারের পথে রওয়ানা দিয়েছে। সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে। উত্তাল জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, মংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌ-যানকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
সি-ক্রোজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক ও কর্ণফুলী জাহাজের ব্যবস্থাপক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, এমভি কর্ণফুলী সেন্টমার্টিনে গেছে। দ্বীপে থাকা সব পর্যটককে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজে তুলে কক্সবাজারে পথে রওনা দিয়েছে। পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হতে ৫-৭ দিন লাগবে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের শংকা থাকায় সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের বুকিং মানি ফেরত দেয়ার জন্য হোটেল ও জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।