বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক

‍আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

­যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। এর মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ছেন তিনি। প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান এবং এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। লন্ডনের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বেলা ২টায় তাঁকে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) নেতা ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসির। কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারপারসন স্যার গ্রাহাম ব্রাডি ঘোষণা করেন, দলের নতুন নেতা নির্বাচনে শুধু সুনাকের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন তাঁরা। সে কারণে তাঁকে নতুন দলীয় প্রধান ঘোষণা করা হলো। যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হন। গত বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও হাউস অব কমন্সের স্পিকার পেনি মরডান্ট এই নির্বাচনে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁরা দুজনই আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ঋষি সুনাক বরিস জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। করোনার বিধিনিষেধ লংঘনসহ কয়েকটি ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। এরপর তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলীয় নেতা নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে এসে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান ঋষি সুনাক। তবে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেসব অর্থনৈতিক নীতি নেন, তাতে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলে নিতে না পেরে তিনিও বিদায় নেন। তাঁর বিদায়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যে যুক্তরাজ্যের হাল ধরার দায়িত্ব পড়ল ঋষি সুনাকের কাঁধে। ঋষি সুনাক ২০১৫ সালে রিচমন্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ার থেকে প্রথমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচ বছরের কম সময়ে ২০২০ সালে দেশের অর্থমন্ত্রী হন তিনি। করোনাকালে অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর জন্য প্রশংসা পেয়েছেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতির গতি ফেরাতে ও জনগণের করের বোঝা কমাতে চান তিনি। তবে লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করা ও ধনাঢ্য স্ত্রীর কর মওকুফ করার জন্য তাঁর সমালোচনা হয়েছিল।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com