আপাতদৃষ্টিতে কিছু মনে না হলেও বাথরুমের বেশ কিছু অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য ওপর যথেষ্ট বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে নিচে উল্লেখিত অভ্যাসগুলো দ্রুত ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
* কমোডে বেশি সময় বসে থাকা : অনেকেই আছেন যারা টয়লেটে বসে পত্রিকা পড়েন অথবা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ অভ্যাসকে উপভোগ্য মনে হলেও আসলে কিন্তু তা অর্শরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কমোডে দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে মলদ্বারের ওপর ব্যাপক চাপের সৃষ্টি হয়, যার পরিণাম হতে পারে অর্শরোগ। টয়লেটে ১০ মিনিটের বেশি বসে থাকা উচিত নয়।
* মলত্যাগের সময় খুব জোরে কোঁথ দেওয়া: কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যার কারণে মলত্যাগের সময় জোরে কোঁথ দিলে অর্শরোগ হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা থাকে। আপনি যত জোরে কোঁথ দেবেন, আপনার মলদ্বারের শিরা-উপশিরার উপর ঠিক ততটা চাপ সৃষ্টি হবে। এর ফলে মলদ্বারের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হতে পারে। তাই মলদ্বারে বেশি চাপ সৃষ্টি না করে স্বাভাবিকভাবে মল বের হয়ে যেতে দিন। এভাবে যদি কাজ না হয়, প্রয়োজনে জোলাপ ব্যবহার করুন।
* কমোডের ঢাকনা খোলা অবস্থায় ফ্ল্যাশ করা: কমোড ফ্লাশ করার সময় মলের বিভিন্ন অংশ এবং মূত্র কমোড থেকে প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত উপরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই টয়লেট ফ্ল্যাশ করার সময় অবশ্যই ঢাকনা বন্ধ করে নিন, যাতে এসব নোংরা জিনিস বাতাসে না ছড়ায়।
* মলত্যাগের পর বেশি টিস্যু ব্যবহার করা: মলত্যাগের পর টিস্যু দিয়ে বেশি মোছামুছি না করাটাই ভালো। মলত্যাগের পর ১-২ বার টিস্যু ব্যবহার করে পরিষ্কার করে ফেলুন। মলদ্বার অতিরিক্ত মোছামুছি করলে আপনার মলদ্বারে ছোট ছোট ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, ফলে সেখানে প্রদাহ এবং চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। একবার টিস্যু ব্যবহার যদি আপনার কাছে যথেষ্ট মনে না হয় তাহলে ভেজা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন।
* টয়লেটের কাছাকাছি টুথব্রাশ রাখা: টুথব্রাশ সাধারণত টয়লেট থেকে ৪ ফুট বা তারও বেশি দূরে রাখা উচিত। কেননা টয়লেটে থাকা মলমূত্রের নির্যাস ফ্ল্যাশ করার সময় (যদি কমোডের ঢাকনা খোলা থাকে) ছড়িয়ে গিয়ে আপনার টুথব্রাশে পরতে পারে। তাছাড়া আরেকটি জায়গা হচ্ছে বেসিন, যেখান থেকে সাবান এবং ময়লা পানির নির্যাস আপনার টুথব্রাশে জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টুথব্রাশ আলাদা করে বাথরুমের উপরের দিকের কোনো শুষ্ক স্থানে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এবং অন্য টুথব্রাশের সঙ্গে আপনার টুথব্রাশ মিশে যাওয়া থেকে আপনি নিরাপদ থাকতে পারেন। তথ্যসূত্র: দ্য হেলদি