মালদ্বীপের নারী ফুটসাল ফিয়েস্তার ফাইনালে ওঠার পথে একমাত্র এমপিএল ক্লাবের কাছেই হেরেছিল শিরোপাপ্রত্যাশী দিবেহি সিফাইং ক্লাব। তবে ওই হারের প্রতিশোধ নিয়েছে দলটি। গত শুক্রবার ফাইনালে এমপিএলকে ১০-২ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিবেহি সিফাইং। আর দিবেহি সিফাইংকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা রাখেন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এ ম্যাচে সাবিনা একাই করেছেন ৪ গোল। মালদ্বীপের এবারের নারী ফুটসাল যেন পুরোটাই সাবিনাময়। ফাইনালে তো ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেনই, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও উঠেছে সাবিনার হাতে। ৬ ম্যাচে সব মিলিয়ে ২১ গোল করেছেন সাবিনা।
গত বছর নারী ফুটসালের সেমিফাইনালে সাবিনার দল দিবেহি সিফাইং ৭-৫ গোলে হেরেছিল ওয়ামকো ক্লাবের কাছে। এবার সেমিফাইনালে ওয়ামকোকে ৬-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন সাবিনারা।
এবার একপেশে ফাইনালে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ফাথিমাথ থিবার গোলে এগিয়ে যায় দিবেহি সিফাইং। ৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থিবা। ১৫ মিনিটে আমিনাথ জাহিয়ার গোলে স্কোরলাইন ৩-০ হয়। ১৭ মিনিটে সাসিপ্রভা সুখসেনের গোলে ৩-১ করে এমপিএল। এর পর থেকেই ম্যাচ সাবিনাময়- ২১, ২৩, ২৮ ও ৩৩ মিনিটে গোলের উচ্ছ্বাসে ভাসেন সাবিনা। ৩২ মিনিটে আরেকটি গোল করেন মরিয়ম রিফা। ৩৮ মিনিটে সাসিপ্রভা সুখসেন করেন এমপিএলের দ্বিতীয় গোল। খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে দিবেহি সিফাইংয়ের আরেকটি গোল করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাপানি ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া।
মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে রয়েছে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী। শুধু সাবিনার খেলা দেখতেই তাঁরা মাঠে আসেন। যখনই সাবিনার পায়ে বল যায়, ‘সাবিনা, সাবিনা’ বলে চিৎকার করেন। প মবারের মতো মালদ্বীপে ফুটবল খেলতে যাওয়া সাবিনা এই ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপে খেলতে এলে সবসময়ই ভালো লাগে। বিশেষ করে এখানে যখন আমার দেশী ভাইদের আমাকে সমর্থন দিতে দেখি, খুবই ভালো লাগে। এই দর্শকদের ভালোবাসা আমাকে আরো ভালো খেলতে সাহায্য করে। আমি অনেক অনুপ্রেরণা পাই। আমার মনে হয়, এটা শুধু আমার একার জন্য নয়, দলের জন্যও খুবই ইতিবাচক একটা ব্যাপার।’