সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কোরবানী ঈদে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই এপ্রিলের ২৬ দিনে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সত্যি না কি গুজব: ফের বিয়ে করছেন শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল গরমে খামারে মরছে মুরগি, কমছে ডিম রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পার্টি কার চাপে নির্বাচনে এসেছে: ওবায়দুল কাদের বিএনপি গরিবের পাশে দাঁড়ায় আর আ’লীগ সরকারি ত্রাণ চুরি করে : ইশরাক কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে- শিক্ষামন্ত্রী

আমনের সবুজ মাঠে সোনালি ধানের শীষের হাসি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২

আমনের সবুজ মাঠে সোনালি ধানের শীষের হাসি। বোরো মৌসুমের মতো সেচ পাম্প চালিয়ে মাঠে রোপা আমনে সবুজের ঢেউয়ের সাথে সোনালি ধানের শীষের হাসি ফুটিয়েছেন কুমিল্লার কৃষকরা। জেলায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে এখন রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাঁসি দেখা যাচ্ছে। বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী, আদ্রা, হিয়াজোড়া, উরুকচাইল এলাকার তারাশাইল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে দোল খাচ্ছে সবুজ ফসল। কেউ জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউ পোকা দমনের চেষ্টা করছেন।
কৃষক মহিউদ্দিন সরকার, মনিরুল ইসলাম বাসসকে জানান, এবার রোপা আমন ধান আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই মৌসুমে এত কম বৃষ্টি আর হয়নি। রোপা আমন ধান চাষ নিয়ে বেকায়দায় পড়ি। পরে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেচ পাম্প মালিকরা সেচ পাম্প চালু করেন। তারা পানি দেয়ার পর রোপা আমন ধানের চারা লাগাই। এই প্রথম সেচ দিয়ে রোপা আমন ধানের চাষ করি।
পাম্প চালক হাবিবুর রহমান বাসসকে বলেন, ২০ বছর ধরে সেচ পাম্প চালাই। সাধারণত বোরো মৌসুমে পাম্প চালাই। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে ২৫০ একর জমিতে সেচ দেই। জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, লাকসাম, লালমাইসহ অন্যান্য উপজেলাতেও সেচ পাম্প ব্যবহার করে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলার নিমসার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া বাসসকে বলেন, এবার খরার কারণে রোপা আমন লাগানো যাচ্ছিলো না। তাই কৃষকদের তাগিদ দিয়ে পাম্প চালকদের উদ্বুদ্ধ করে ধান লাগানো হয়। সময় মতো আবাদ হওয়ায় ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে, সাথে তারা পরবর্তী ফসল সময় মতো লাগাতে পারবেন।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, বুড়িচং উপজেলায় এবছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমি। আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাসে ৭২ ও ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দেরিতে ধান রোপণ করা হলে ফসল কমে যায়। তাই উপ-পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় ভাদ্র মাসে আমরা মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৫৩৫টি সেচ পাম্প চালানোর ব্যবস্থা করি। এতে আমরা শতভাগের বেশি জমিতে রোপা আমন ধান লাগাতে সক্ষম হই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, ৪২ বছরের মধ্যে এবার প্রথম কুমিল্লায় বর্ষাকালে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টি নির্ভর রোপা আমন চাষ করা যাচ্ছিলো না। এবার রোপা আমন আবাদে আমাদের বড় ধরনের সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে প্রশাসন, পাম্প মালিক, কৃষক ও কৃষির মাঠ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সেচ যন্ত্র চালুর ব্যবস্থা করেছি। এতে আমাদের রোপা আমন আবাদে ব্যাঘাত ঘটেনি। এখন মাঠে ফসলের অবস্থা ভালো। আমাদের জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫ হেক্টর। এই লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন করেছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com