বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ঝিনাইদহে শীতকালীন সবজি দামে ঠকছেন চাষি-ভোক্তা

আব্দুর রাজ্জাক স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহণ ও শ্রমিকদের বাড়তি খরচ যোগ হচ্ছে সবজির দামে * চাষি থেকে ভোক্তা পর্যন্ত হাতবদল হয়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ ঝিনাইদহ বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি। গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। কিন্তু সেই দামেও উৎপাদন খরচ পোষাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখতে পারবেন কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। চাষি থেকে ভোক্তার খাবার টেবিল পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে কয়েক দফায় হাত বদল হচ্ছে। এতেই দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ঠকছেন চাষি ও ভোক্তা। তবে ব্যাপারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পালটে গেছে হিসাব-নিকাশ। পরিবহণ ও শ্রমিকদের বাড়তি খরচ যোগ হচ্ছে সবজির দামে। ফলে ভোক্তাকে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সবজি। দেশের বৃহত্তম সবজির মোকাম ঝিনাইদহে সাধারণ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে। ভোর থেকে কৃষকরা তাদের সবজি নিয়ে হাজির হয়েছেন মোকামে। চলছে বেচাকেনা। এদিন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫৫-৬০ টাকা, শিম ৬০-৬৫ টাকা কেজি, পাতা কপি ২০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা কেজি, মরিচ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সবজি কয়েক হাত ঘুরে ঝিনাইদহ শহরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভোক্তা চড়া দামে কিনছেন এসব সবজি। মোকামে সবজি বিক্রি করতে আসা চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কৃষকের বাঁচার উপায় নেই। আবাদের খরচ বেড়েই চলেছে। তেল, সার, কীটনাশক কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। অনেক কষ্টে আবাদ করেছি। বাজারে এসে যে দাম পাচ্ছি, তাতে কোনোরকমে খরচ উঠবে। লাভের মুখ দেখতে পারব না। সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর এলাকার চাষি বাবুল ইসলাম বলেন, সবাই চাষি মারার কল পেতে রেখেছে। যত লোকসান সব চাষির ঘাড়ে। তৈল, সার, কীটনাশকের দাম লাগাম ছাড়া। এভাবে কতদিন টিকব আমরা জানি না। অনেক কষ্টে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে এসে দাম পাচ্ছি না। কিন্তু শহরের মানুষ ঠিকই চড়া দামে কিনে খাচ্ছে। মাঝখানে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। তবে সদর উপজেলার গান্না এলাকার কৃষক মহি উদ্দিন বলছেন, তিনি ১৬ কাঠা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। তাতে খরচ হয়েছে ত্রিশ হাজার টাকার মতো। কয়েক চালানে বেগুন বিক্রি করে তার খরচ উঠে গেছে। পরবর্তীতে চালানে তার লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উপজেলার ডাকবাংলা সাধারণ কাঁচা বাজারের রাসেল আহম্মদ বলেন প্রতিদিনই এই মোকামে সবজি বেচাকেনা হয়। সপ্তাহ দুদিন সবচেয়ে বেশি সবজি উঠে হাটে। প্রতি সপ্তাহে এই হাট থেকে প্রায় দেড় হাজার টন সবজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এ বছর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় যেমন কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তেমনি পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও পরিবহণ ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে দামের হেরফের হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com