আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশ যুবসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সারাদেশের যুবদের স্রোত এসে মিলিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায়।আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবমহাসমাবেশ শুরুর আগেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে শাহাবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সেগুনবাগিচাসহ আশপাশের রাস্তায় যুবলীগ কর্মীরা অবস্থান নেয়।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা যায়। তারা বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে মহাসমাবেশ স্থলের দিকে যান। অনেকে আবার পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে অগ্রসর হন।
আগামী দিনে বিএনপি-জামাত চক্রের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আস্ফালনকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার দীক্ষা নিতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুটে এসেছে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আগামীদিনে এই যুব সম্প্রদায় জাতির ভ্যানগার্ড হিসেবে অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাজপথ পাহারা দিবে, এমন দৃঢ়তাই প্রকাশ পেয়েছে তাদের চোখেমুখে।
যুবমহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন যুবলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দিক নির্দেশনা নিয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ফিরে যাবে নিজ নিজ এলাকায় এবং সে অনুযায়ী আগামী দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানান ময়মনসিংহ থেকে আসা শহর যুবলীগ কর্মী শাজাহান আলম।
যুবলীগ কর্মী কুমিল্লার জসিম উদ্দিন বাসসকে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন যুব সমাজ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে শতবছরের অত্যাচার নির্যাতনের নাগপাশ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করেছিল। ছিনিয়ে এনেছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ও লাল-সবুজের পতাকা। তেমনিভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে লালন করে আগামী দিনে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ায় আমরা আত্মনিয়োগ করবো।’ দুপুর আড়াইটা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যুবসমুদ্রে পরিণত হয়।