নারীদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারী ও প্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত পণ্য যথাযথভাবে বাজারজাত করা জরুরি। অন্যথায় তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে হেরিটেজ পল্লী ও প্রেরণা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। হেরিটেজ পল্লীর সভাপতি টুটলি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, জার্মানির রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টার, প্রেরণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুবিনা আসাফ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে স্পিকার বলেন, নারীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের সাথে ব্র্যান্ডিং বিষয়টি জড়িত। ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নারীরা যেন উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইন ও ই-কমার্সের সুবিধা ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জামানতবিহীন ঋণসুবিধা নারীদের জন্য বিস্তৃত করা জরুরি। কভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের এ ধরনের সুবিধা ও প্রণোদনা প্রয়োজন। তাহলেই কভিডের ক্ষতি মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জয়িতা ফাউন্ডেশন নারীদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আরো ৭০০ নারী উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা প্রদান করা হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের উৎসাহিত করতে সকল রকম সুবিধা বিস্তৃত করা দরকার। তাদের উৎপাদিত পণ্যের উন্মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।