শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

করোনার রূপ পরিবর্তন : বিশ্বে ৭.২৩%, বাংলাদেশে ১২.৬০%

শামছুল আরিফ:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মহামরি করোনাভাইরাসের রূপ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তনের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। যেখানে বিশ্বে এই পরিবর্তনের হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি কোভিড-১৯ জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ’র সভাপতিত্বে এই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
প্রতিবেদনের তৈরির জন্য দেশের ৮ বিভাগ থেকে সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এসব ডাটা সংগ্রহ করা হয়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল ভাইরাসের সংক্রমণ, মিউটেশনের হার, জিনগত বৈচিত্র্য, নন-সিনোনিমাস মিউটেশন এবং জিনোমিক ফাইলোজেনি পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার ফলাফলকে কোভিড-১৯ মহামারি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যবহার করা।
সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট জি৬১৪ (স্পাইক প্রোটিনে ৬১৪তম অবস্থানে অ্যাসপাটি এসিডের পরিবর্তে গ্লাইসিন হওয়ার কারণ) এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ২৬৩টি সার্স কোভ ২ জিনোম বিশ্লেষণে ৭৩৭ পয়েন্টে মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩৫৮ নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বার্ষিক মিউটেশনের হার ২৪ দশমিক ৬৪ নিউক্লিওটাইড- জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে জানানো হয়, স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড মিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটে যার মধ্যে ৫টি স্বতন্ত্র যা বিশ্বে আর কোথাও নেই। সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে ৪টি মিউটেশন পুনরাবৃত্তি লক্ষ্যণীয়। গবেষণার ফলাফল প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি রিসার্চ পেপার ও শিগগিরই আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে। চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, আমেরিকার প্রতিষ্ঠান মর্ডানা, দ্য ইউনির্ভাসিটি ও অক্সফোর্ডসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা ৫০টি প্রতিষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে- বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এর ফলে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ উপযোগী ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং বিসিএসআইআর তার অংশীদার হওয়ার গৌরব অর্জন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com