শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদীতে মাছ ধরার উৎসব

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২

জেলার ডাকাতিয়া নদী থেকে পলো দিয়ে শত শত মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ শিকার করছে। আজ শুক্রবার জেলার মোহাম্মদপুর, তারাপাইয়া ও ইছাপুরা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে শতাধিক মাছ শিকারী মাছ ধরা উৎসবে অংশগ্রহণ করে। দলে দলে পলো নিয়ে মাছ ধরার দৃশ্যটি ছিল চোখের পড়ার মতো। সকাল থেকেই পলো, জাল, দঁড়িসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে নদীর পাড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পলো দিয়ে পানিতে একের পর এক ঝাঁপ দেওয়া আর হৈ-হুল্লোড় করে সামনের দিকে ছন্দের তালে তালে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা।
এ যেন হারিয়ে যাওয়া বাংলার সৌন্দর্যময় দৃশ্য আর ঐতিহ্যের জয়গান। শিকারীদের অনেকেই বোয়াল, গজার, শোলসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরেন। কেউ কেউ একাধিক ধরলেও কেউ ফিরেন শূন্য হাতে। একজন মাছ ধরতে পারলে আওয়াজ তুলে আনন্দে শরীক হন সবাই। পলো ছাড়াও ফার জাল, ছিটকি জাল, ঝাঁকি জাল, পেলুন ইত্যাদি দিয়ে মাছ শিকার করেন অনেকে।
একসময় ডাকাতিয়া নদীতে বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নদীটি সংকুচিত হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না। চলতি শীত মৌসুমেই নদীটির বিভিন্ন স্থান শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু বা কোমর সমান পানি। আর তেমনি এলাকা লাকসামের মোহাম্মদপুর, তারাপাইয়া ও ইছাপুরা এ এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে মৎস্য শিকারের উৎসবের পরিণত হয়। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেয়াটাই ছিল আনন্দের-এমনটি জানালেন কয়েকজন মৎস্য শিকারী।
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বাসসকে বলেন, নদী থেকে পলো মাছ ধরা আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন উৎসব। এতে দেশীয় মাছ পাওয়া যায়। এই শখের উৎসব ধরে রাখার সঙ্গে জড়িতদের আমি সাধুবাদ জানাই। এটি একটি আনন্দের বিষয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com