শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধ দিবস পালিত মাধবদীতে জ্যান্ত কই মাছ গলায় ঢুকে কৃষকের মৃত্যু বদলগাছীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী কালীগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা লতিফ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন হাতিয়ায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার ক্যাম্পাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত স্মৃতি কর্ণার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে ছাত্রলীগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

চকরিয়ায় রাক্ষুসে মাতামুহুরী নদীর করাল গ্রাসে হাজারো গ্রামবাসীর নিরব আর্তনাদ

অলি উল্লাহ রনি চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বিলীনের পথে আবাদি জমিসহ বহু স্থাপনা

চকরিয়া পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়ার কয়েক হাজারজন মানুষের বসতির বাপ দাদার ভিটেবাড়ি, পবিত্র কবরস্থান, মসজিদ ও চাষাবাদের শত শত একর ধানি জমি এবং মৌসুমী শাক-সবজি ও আঁখ চাষের অসংখ্য জমি অচিরেই চকরিয়ার ছলনাময়ী মাতামুহুরীর রাক্ষুসে গ্রাসে বিলীণ হতে চলেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ এবং মাদরাসা পড়য়া ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র হাটা-চলার পথটির মাঝখানে প্রধান যাতায়াতের একটি অংশ সম্পূর্ণরুপে বিলীণ হয়ে গেছে মাতামুহুরীর পেটে। চকরিয়ার শত সন্তানের জীবন কেড়ে নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি সু-চতুর এ নদী। গত বর্ষা মৌসুমে রাক্ষুসে এ মাতামুহুরী নদী এলাকার বাইরেও আরো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মসজিদ ও ফসলি অনেক জমি গ্রাস করে নিয়েছে। অপরদিকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে চকরিয়া-বদরখালী এবং পাশ্ববর্তী উপজেলা মহেশখালী যোগাযোগের প্রধান সংযোগ সড়কের উপর স্থাপিত বাটাখালী টানা ব্রীজটি। বিশেষ করে এ ব্রীজটির পূর্বপাড়ের কিনার ভাংতে ভাংতে ক্রমাগতভাবে উত্তর কাহারিয়াঘোনা ও খোন্দকারপাড়ার হাজার হাজার মানুষের বসতির উপর প্রভাব ফেলেছে মারাত্মকভাবে। এ এলাকার অধিকাংশ লোকই হত-দরিদ্র। নিরব আর্তনাদ চলছে এখানকার মানুষের মাঝে। ভেঙ্গে যাওয়া এলাকার যাতায়াতের পথটিতে বিদ্যুতের লাইন টানা থাকলেও পৌরসভার নাগরিক অধিকার হিসেবে সোডিয়াম বাতির আলো থেকেও বঞ্চিত সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। অন্যদিকে ভেঙ্গে যাওয়া এ পথটি বদরখালী সড়ক সংযোগ এবং চকরিয়া থানার সম্মুখীন। যার দরুণ ঘাটপাড়া-বাটাখালী হয়ে এখানে ঢুকতে যে রাস্তাটি রয়েছে; সেই রাস্তাটি নদীর কিনার ঘেঁষেছে। আর ওই রাস্তাকে কেন্দ্র করে একটি পুরানো জামে মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদের বর্তমান অবস্থান নদীর পারে। মাতামুহুরীর অনিয়ন্ত্রিত ভাঙ্গনের কবলে পড়লে শতবর্ষী এই মসজিদটি অচিরেই নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার শংকা প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের মুসল্লি ও এলাকাবাসী। এব্যাপারে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বালু আর সিমেন্টের সংমিশ্রণে ১হাজার বস্তা মিক্সার প্যাকেট ফেলা হবে নদীর পারে। যেটি নদীর পার ভাঙ্গন রোধে সহায়ক হবে। এরপরেও সংকট হলে আমি আমার প্রচেষ্টা ও পৌরসভার সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com