ময়মনসিংহের ভালুকায় আগামী ৩০ নভেম্বর স্থগিত হওয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রমুলক ও মানহানিকর কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. গোলাম মোস্তফা। সোমবার বিকেলে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ম সিটি গার্ডন-২ এ এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে কোনদিন জরিত হইনি। ভবিষ্যতেও এমন কোন ইচ্ছা নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করেই রাজনীতি করি। আদিবাসী ব্যানারে আমাকে উদ্বেশ্য করে যে মানববন্ধন হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমুলক, মিথ্যা ও বানোয়াট এবং পরিকল্পিত চক্রান্ত। যেহেতু আমি সভাপতি প্রার্থী আমার প্রতিপক্ষরা এর সাথে সরাসরি জরিত। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী অনেকেই আমাকে জানিয়েছে মিথ্যা কথা বলে তাদেরকে ভালুকায় এনেছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতোনা। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন ভালুকা উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি এশিয় কুবি ও সহ-সভাপতি সোহার্তো রুরাম বলেন, সংগঠনের মিটিং এর কথা বলে ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাহেন্দ্র আমাদেরকে ভালুকায় এনেছেন। হঠাৎ উপস্থিত সংগঠনের লোকজনদের রাস্তার পাশে দার করিয়ে সামনে একটি ব্যানার ধরিয়ে দেন। এসময় জানতে পারি ভালুকার বর্ষিয়ান নেতা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তখন আমরা বিব্রত হই এবং তাৎখনিক প্রতিবাদ জনাই। আদিবাসীদের সাথে গোলাম মোস্তফার অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারও সার্থে আদিবাসীদের ব্যবহার করে সংগঠনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র অন্যায় করেছেন বলে আমরা মনে করি। আমরা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ২নং মেদুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী, ৩নং ভরাডোবা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদার, ৭নং মল্লিকবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আকরাম হোসাইন, ১১নং রাজৈ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদশা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন খান, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদত হোসেন পাঠান প্রমূখ।