শীত আসতেই বাজারে গুড় উঠতে শুরু করে। এ সময় গুড়ের ঘ্রাণ মুগ্ধ করে সবাইকে। শীতে বাহারি সব পিঠা তৈরির ধুম পড়ে ঘরে ঘরে। আর গুড় ছাড়া পিঠার স্বাদ বাড়ে না। শুধু স্বাদেই নয়, গুড়ের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। এ কারণে চিনির বদলে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য় করে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যাও দূর করে গুড়। তবে এ মুহূর্তে বাজারে যেসব গুড় কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই কেমিক্যাল মিশ্রিত, যা শরীরের ক্ষতি করছে। তবে কীভাবে বুঝবেন, দোকান থেকে যে গুড় কিনছেন তাতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো আছে কি না?
কেমিক্যালবিহীন গুড়ের রং কালচে কিংবা গাঢ় বাদামি। গুড়ের রং যদি সাদা, হলুদ কিংবা লাল হয়, তাহলে বুঝতে হবে তাতে কেমিক্যাল মেশানো আছে। গুড়ের স্বাদে যদি নোনতা বা তেতোভাব থাকে, তাহলে বুঝতে হবে গুড়ে কেমিক্যাল মেশানো আছে।
গুড় খেলে যেসব উপকার মেলে:গুড় মেশানো পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে পান করলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও দারুণ উপকারী গুড়ের পানি। এছাড়া সর্দি-কাশির সমস্যায় গরম পানির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে পান করলে উপকার মেলে। শীতকালে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের জন্যও উপকারী গুড়ের পানি।
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ও মিনারেলস আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ায় গুড়। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এমনকি রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতেও দারুণ সাহায্য করে গুড়। আবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করে গুড়ের পানি। পাশাপাশি আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য হাড়ের সমস্যাও দূর করে। সূত্র: এবিপি