দীর্ঘ ৩ বছর পর ভারত বাংলাদেশ বর্ডার হাট ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শেষ সীমান্ত রাজিবপুর অংশে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের দুই দেশের সীমান্তবর্তী বর্ডার হাট বেলা ১১ টায় পুনরায় উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত একটি যৌথ সভায় এই বর্ডার হাটটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বর্ডার হাট দুই দেশের মধ্যে একটি বাজার, যা সীমান্তের উভয় পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের স্থানীয় পন্য বাজারজাত করতে এবং ক্রয় বিক্রয় করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্ডার হাট আন্তঃসীমান্ত বানিজ্য এবং জনগণের যোগাযোগে নতুন মাত্রা তৈরী হয়। পর্যালোচনা ও স্থানীয় সমীক্ষা অনুসারে বর্ডার হাট স্থানীয় শতশত জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করে। বিশেষ করে পরিবহনকারী, বিক্রেতা, শ্রমিক এবং খাদ্য স্টলের মালিক হিসাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বর্ডার হাটে একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র, যা মানুষের সাথে মানুষের সংযোগের প্রচার করে। যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের নির্ধারিত ৭৫ জন ভ্যান্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কৃষি ও উৎপাদনজাত পণ্য, ক্ষুদ্র কৃষি ও গৃহস্থালীর পণ্য, তাজা ও শুকনা মাছ, কুটির শিল্পের জিনিসপত্র, ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। যৌথ সীমান্ত হাট পুণরায় খুলে দেয়ার সময় উভয় দেশের ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের পক্ষে এবিডি সিরা এডিসি আমপাতী, টিডি তরিৎ সাংমা আমপাতী, বাংলাদেশের পক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত কুমার চক্রবর্তী, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, অফিসার ইনচার্জ মজাহারুল ইসলামসহ উভয় দেশের স্থানীয় ৭৫ জন ভ্যান্ডারগণ।