দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সব প্যারামিটারই ভালো। স্বাভাবিক সেন্স ফিরেছে। মুখে খাচ্ছেন তরল খাবার। গতকাল মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন।
তিনি বলেন, গতকালই ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের এইচডিউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদাকে। সেখানে তিনি মুখে লিক্যুইড খাবার খাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ওনার জ্ঞানের মাত্রা সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের মতোই আছে। অন্যান্য অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। শুধু ডান হাতটা আগের মতোই আছে, ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপি চলার পরে কতটুকু উন্নতি হয় সেটা সময় হলে বোঝা যাবে। তাকে এইচডিইউ থেকে কবে বেডে স্থানান্তর করা হবে জানতে চাইলে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, আমরা তাকে বেডে দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। যেহেতু এখানে কিছু নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে সেজন্য আমরা তাকে এখনো এইচডিইউতেই রেখেছি। তবে কেবিনে নেওয়ার বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত হবে। মেডিকেল বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত নিবে তাকে কেবিনে দেওয়া হবে কি-না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ওনার একটা মানসিক ট্রমা আছে। সরকারি দায়িত্ব পালন অবস্থায় এতোবড় একটা আঘাত তিনি পেয়েছেন। মানসিক আঘাত কিছুটা আছে।
তিনি শঙ্কামুক্ত কি-না জানতে চাইলে জাহেদ হোসেন বলেন, শঙ্কামুক্ত বলাটা কঠিন ব্যাপার। তবে যেই কন্ডিশনের জন্য তিনি খারাপ ছিলেন সেই কন্ডিশনটা ইমপ্রুভ হয়েছে। মোটামুটি সব প্যারামিটারেই তার উন্নতি হয়েছে। ওনার পালস-ব্লাড প্রেসার, মানসিক কন্ডিশন, জ্ঞানের মাত্রা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার সবকিছু চিন্তা করলে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ডান হাত অবশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি ফিজিওথেরাপিতে তার উন্নতি হবে, তবে কবে কতটুকু হবে সেটা বলা কঠিন। হাতে ওনার শক্তি নাই কিন্তু বোধ আছে। চিমটি কেটে ব্যথা দিলে বুঝতে পারেন, টাচ করলে বুঝতে পারেন। কিন্তু হাতের কোনো শক্তি নেই, হাত নাড়াতে পারেন না।