মীরসরাইয়ে তৈরি হবে বিশ্বমাণের এফ আই কে হাসপাতাল। এ নিয়ে আবুধাবিস্থ স্থানীয় একটি হোটেলে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরেণ্য কবি ও কথা সাহিত্যিক মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন ভূঁইয়া উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চ, আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মীরসরাই সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। প্রধান বক্তা ছিলেন আবুধাবি শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কাজী আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সাহিত্য বিষয়ক উপদেষ্টা, ডাঃ শেখ শামসুর রহমান পিএইচডি, আরব আমিরাতের নাগরিক শেখ নাসের, উপদেষ্টা মোহাম্মদ আক্তারউদ্দিন পারভেজ, কবি, লেখক ও সাংবাদিক মনিরউদ্দিন মান্না, তরুণ কবি আরাফাতুই ইসলাম চৌধুরী, লেখক রাজু আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল আহম্মদ, বাবু দীপক চন্দ্র দাস, ইসলামি চিন্তাবিদ ইমরান হোসাইন,ইমাম হোসেন , বোরহান উদ্দীন, কামাল সহ প্রমুখ।
এফ,আই,কে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পি বলেন, আমার পিতা প্রয়াত হাজী শাহ আলম ও আমার মমতাময়ী মা সুখিনা বেগমের একটি হাসপাতালের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল, সেইটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। এফ,আই, কে হাসপাতালের মতো ১০ হাসপাতাল হবে বাংলাদেশে। ইনশাআল্লাহ। এফ,আই, কে, হাসপাতাল (বিশেষায়িত হাসপাতাল ২৪দ্ধ৭) বিশ্বমানের হাসপাতাল উদ্বোধন হবে শীঘ্রই। বিশ্বমানের স্পেশালিস্ট, সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে সু – বিশাল পরিসরে এফ,আই, কে, হাসপাতাল এর জন্য বিশ্ব মানের দুইটি এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করেছি। বাংলাদেশে চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার মীরসরাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বারইয়ারহাট পৌরসভার জোরারগঞ্জ পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন বিশ্বমানের স্পেশালিস্ট হাসপাতাল শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। বিশ্বমানের দেশের স্বনামধন্য ডাক্তার ও বিশ্ববিখ্যাত ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবার সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গডে উঠবে অত্যাধুনিক এই হাসপাতাল আর এতে দিন দিন বিভিন্ন শহর ও বিদেশমুখী রোগীদের দেশের চিকিৎসায় আস্থা ফিরে আনার এবং শহর ও গ্রামীণ জনপদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণের উদ্দেশ্যেই এ নান্দনিক হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু হবে। গ্রামীণ জনপদের রাজধানী খ্যাত বারইয়ারহাট পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামোয় গড়ে ওঠা এফ আই কে হাসপাতাল এক যুগান্তকারী চিকিৎসা সেবার আমূল পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এফ আই কে হাসপাতাল এর সাথে অন্য সাধারণ হাসপাতালগুলোর সঙ্গে এর কোনো মিল থাকবে না। এখানে থাকবে না কোনো দালালের দৌরাত্ম্য থাকবে না কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা। শুধু তাই নয়, বিশেষায়িত এই হাসপাতালে গেলে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে এর নান্দনিক অবকাঠামো দেখে। চিকিৎসাসেবার জন্যও এখানে থাকবে অনেক আয়োজন। থাকবে আধুনিক প্রযুক্তির সব চিকিৎসা সরঞ্জাম। সেবা দিতে সবসময়ই প্রস্তুত থাকবে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। প্রয়োজনে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শও নিতে পারবেন চিকিৎসা প্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, হাসপাতালটি একদিন দেশ ছাডিয়ে বিশ্বের অনুরূপ হাসপাতালে পরিণত হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এফ আই কে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। মূলত চিকিৎসার জন্য যেন দূর-দূরান্তে ও বিদেশে যেতে না হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই গড়ে তোলা হবে এফ আই কে বিশেষায?িত হাসপাতাল। থাকবে দরিদ্র রোগীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার সুযোগ রয়েছে। থাকবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থা। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী আর মা ও নারীদের সেবায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আইসিইউ, ইন পেটিয়েন্ট সার্ভিস। রোগীদের অতিথি ভবন, প্রসাশনিক ভবন শিশুদের জন্য প্রজাপতি পার্ক অনেকগুলো ভবন সংযুক্ত থাকবে এই অত্যাধুনিক হাসপাতালকে ঘিরে। মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি, জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, শিশুরোগ, চক্ষু বিভাগ, নাক কান গলা বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি, চর্ম, অ্যালার্জি ও ভিডি রোগ, হাড় ও আঘাতজনিত রোগ, হৃদরোগ, গেস্টোএন্টারলজি ও হেপাটলজি, লিভার রোগ, ইউরোলজি, ডায়টারি, প্যাথলজি। থাকবে দুটি অত্যাধুনিক জীবনরক্ষাকারী বিশ্বমানের এম্বুলেন্স সাথে স্পেশালিস্ট নার্স ২৪ ঘণ্টা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। ৪ডি আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই (১.৫ টেসলা), অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। আমি মা ও বাবার ইচ্ছেতে মানব সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছি চিকিৎসাসেবার নৈরাজ্য দেখে আমার মন কেঁদে ওঠে চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতায় অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে আমার এই উদ্যোগ কিঞ্চিৎ মানবতার উপকার সাধন করতে পারে নিজেকে ধন্য মনে করবো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবীর মুক্তি যোদ্ধা,বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পদ প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রাম ১ (মীরসরাই) জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মহোদয় সহ বর্তমান সরকারের সকল এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।