টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচপুর ইউনিয়ন এর ৮টি ওর্য়াডের ৮টি মসজিদে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মোট ২০৮জন শিক্ষার্থীকে উপহার হিসেবে বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় তাদের হাতে বাই সাইকেল গুলো উপহার দেওয়া হয়। এমন অভিনব কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় পাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খবিরুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসো ভাই নামাজ পড়ি, এসো বন্ধু সমাজ গড়ি লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত পহেলা আক্টোবর থেকে ১০নভেম্বর পর্যন্ত ৪০দিন মসজিদের জামাতের সাথে ৫ওয়াক্ত নামাজের পড়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় স্থানীয়, পাঁচপুর ইউনিয়ন এর চক বিস্টপুর জামে মসজিদ, পারগুরনই জামে মসজিদ, পার পাঁচুপুর জামে মসজিদ, বিহারীপুর জামে মসজিদ, খঞ্জর জামে লসজিদ, কাসুন্দা জামে মসজিদ,নবাবের তাম্বু জামে মসজিদ এবং বিপরো বোয়ালিয়া জামে মসজিদে। এতে এলাকার ৮ থেকে ১৮বছর বয়সী মোট ৩৫০জন শিশু, কিশোর ও তরুণরা অংশগ্রহন করে। তাদের মধ্যে ২০৮জন টানা ৪০দিন জামাতের (২০০ওয়াক্ত) সাথে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়। অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে স্থানীয় বিহারীপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে উপহার হিসেবে প্রত্যককে একটি করে বাই সাইকেল উপহার দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জর্জ কোটের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম,মাওলানা আশাদুল ইসলাম, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা মাহাফুজুর রহমান সহ স্থানীয় মুসল্লিরা। চক বিস্টপুর জামে মসজিদ খতিব মাওলানা আব্দুর ওয়াহেদ বলেন, এলাকার শিশু,কিশোর ও তরুণদের মাঝে নামাজে উদ্বুদ্ধ করতে এই আয়োজন। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের মসজিদমুখী করার জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ বড়রা দিন দিন চলে যাচ্ছেন পৃথিবী ছেড়ে, তাই মসজিদ অনাবাদ হয়ে যাবে। মসজিদ যাতে আবাদ হয়, তাই বাচ্চাদের মসজিদমুখী করার জন্য এ চেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। বিপরো বোয়ালিয়া মসজিদের খতিব মাওলানা মাহফুজুর রহমান বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করবেন। শিশু-কিশোর ও তরুণদের নামাজে আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ। চেয়ারম্যান মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায়। বাইসাইকেল উপহার পাওয়া কিশোর শিহাব হোসেন বলেন, টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় এখন মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শুধু উপহার পাওয়ার আশায় নয়, মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ করতে হবে সকল মুসলমানদের। আমি এখন থেকে নিয়মিত মসজিদের গিয়ে নামাজ আদায় করবো। সাব্বির হোসেন নামের তরুণ বলেন, জীবনের বাকি সময় যেন জামাতে নামাজ পড়তে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আগে নামাজ ঠিকমত আদায় হতোনা। এখন অভ্যস্থ হয়ে গেছে মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার। আয়োজকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি আয়োজন করার জন্য। স্থানীয় পাঁচপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: খবিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৮টি ওর্য়াডের ৮টি মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের সকল মসজিদে এমন আয়োজন করা হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে মসজিদে এসে নামাজ আদায়ে আগ্রহ বাড়ছে। আগামী প্রজন্মকে নেশা মুক্ত ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন বিবেকবান আদর্শ সমাজিক মানুষ, ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে জানা , বোঝা এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।