ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন প্রতিরোধে মোহনপুর উপজেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও ক্রমশ প্রশাসনের দূর্বল কার্যকরী ভূমিকার সুযোগ নিয়ে দূর্বার গতিতে আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খননের কাজ। বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেনের অবৈধ পুকুর খনন এবং বিভিন্ন সমস্যার পৃষ্টপোষকতা থাকায় ইতোপূর্বে উপজেলার অনেক ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নিরব ভূমিকা থাকায় বিগত ক’বছরে মোহনপুরে বিপুল পরিমান ফসলি জমি নষ্ট হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন সাধারণ মানুষ। তবুও চলমান সময়ে পুকুর সংস্কারের ক্ষেত্রে পুকুর মালিকরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি উপজেলার ফুলশো গ্রামের জনৈক আব্দুল মতিন ও তার শরিকরা নিজেদের পুকুর সংস্কারের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা মৎস্য অফিস সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পুকুর সংস্কারের সুপারিশ করেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতে আব্দুল মতিনরা ভেকু মেশিনের সাহায্যে পুকুর সংস্কার কাজ শুরু করেন। এমতাবস্থায় উপজেলা ভূমি অফিস আব্দুল মতিনের পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ করে ভেকু মেশিনের চাবি নিয়ে আসেন। ফলে তাদের পুকুর সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা পুকুর মালিকদেরকে ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দালালচক্র জানায় ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা খরচ করলে ভেকু মেশিনের চাবি ফেরতসহ পুনরায় পুকুর সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে। নিরুপায় আব্দুল মতিন জানান, অগত্যা ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা ওই চক্রের হাতে তুলে দিলে সত্যি সত্যি দু’দিনের মধ্যে ভেকু মেশিনের চাবি ফেরত পেয়ে আপাতত পুকুর সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ওদিকে পুকুর খনন ও সংস্কারে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে হবে বলে একটি চক্র টাকা উত্তোলন করছে বলেও জানা গেছে। জনৈক আব্দুল মতিনকে তার পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে এতোটায় নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এদেশে তার কোন অধিকার নেই এবং তিনি এদেশের নাগরিক নন। অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবলীলায় চলেছে পুকুর সংস্কার, সেই সাথে চলছে ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধ পুকুর খনন। এবিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।