রৌমারীতে পুকুরের মাছ লুট করে নিয়েছে দাঙ্গাবাজ লুটেরা। ২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর সরকার পাড়া গ্রামে জয়নাল আবেদীনের পুকুরে এঘটনা ঘটে। কোর্টে ও থানায় ১৪৪ ধারা ও ১০৭ ধারা আইনগত ব্যবস্থা করেও রেহাই নাই অসহায় পরিবারের। জয়নাল অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্রয়কৃত এক ফসলি ২৯ শতাংশ জমি। জমিটি নিচু হওয়ায় যেখানে বছরে ৬ মাস পানি থাকে এবং সেখানে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা হয়। পৌষমাসে পানি কমে যাওয়ার পর মাছ মেরে ইরি-বোরো চাষ করা হয়। পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় অসহায়ত্বের সুযোগে হটাৎ করে লুটেরা সংঘবদ্ধ হয়ে জহুরুল, জাহিদুল, দুদু মিয়া, রুবেল মিয়া, ধলু, গোলে রানী,জহুরা,ওলেদা,আরিফাসহ ৩০/৩৫ জনের একটি দল সমবেত হয়ে পুকুরের মাছ লুট করে নেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে এবং আমার কোন জনবল না থাকায় রৌমারী থানা পুলিশের সহযোগিতা নেই। পুলিশ এসে পুকুরের মাছ লুটেরাজদের পুকুর থেকে তাড়িয়ে দেয়। প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপি মাছ ধরার কারণে পুকুরের মাছ অনেকটা মারা শেষ হয়ে যায়। কিন্ত পুলিশের বাধায় দূর্বৃত্তরা চলে গেলেও সমুদয় মাছ নিয়ে যায়। কেন দূর্বৃত্তরা পুকুরের মাছ মেরে নিল এব্যাপারে অভিযোগকারী জয়নালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে বদিউজ্জানের নিকট হতে মৌজা ধনারচর, জেএলনং ২৭, খতিয়ান নং ৯৪৯, আরএস দাগ নং ৪২৬৩, ৪৫৭৩, ৪৯৫৯ জমি ১ একর ৪ শতাংশের মধ্যে ১৪ শতক ও একই মৌজায় জহুরার নিকট হতে, জেএল নং ২৭, এসএ খতিয়ান নং ৩৮৫, দাগ নং ২৫৯৮ জমি ৫ একর ১০ শতকের মধ্যে ১৫ শতকসহ মোট ২৯ শতক জমি ক্রয় করি। যাহা খারিজ খাজনা পরিশোধীত। উক্ত জমি হতে ভূলক্রমে জহুরার বিক্রিত ১৫ শতক জমি বদিউজ্জানের নামে রেকর্ড ভূক্ত হয়। উক্ত রেকর্ড কর্তনের বা ভূল সংশোধনের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে সিভিল করেছে বলেও জানান জয়নাল। তবে মামলা চলমান আছে। এ ভূলবশত রের্কডের কারণে বিবাদি পক্ষ জাহিদুল ইসলাম গং দফায় দফায় বিক্রিত জমির ফসল, মাছ ও জমি ভোগ দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। উক্ত জমির উপর জয়নাল আবেদীন বিবাদী পক্ষ জাহিদুল গংদের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম কোর্টে ও রৌমারী থানায় ১৪৪ ধারা ও ১০৭ ধারা করলেও বিবাদী আইনকে তোয়াক্কা না করে যখন তখন উক্ত জমি অবৈধ অনুপ্রবেশ ও জবর দখলের চেষ্টা চালায়।