আল্লামা ফজলুল্লাহ (রহ.) আদর্শ মাদ্রাসা নারিশ্চা এর প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির (রহ.) এর ৬ষ্ঠ ইছালে সাওয়াব উপলক্ষে ইসলামি শিক্ষা সম্মেলন ও দো’য়া মাহফিল অদ্য ২৪/১২/২০২৩ অত্র মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লেখক ও গবেষক দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চীপ ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন। প্রধান অতিথি’র গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলাম সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। ধর্ম পালনে কেউ বাধাগ্রস্ত হবে না। তাই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ, উপাসনালয় ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে কোনোরূপ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা কোনো মুসলমানের জন্য সমর্থনযোগ্য নয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনা হিজরত করার পর যে ‘মদিনা সনদ’ ঘোষণা করেন, এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদান সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য ধারা রয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার নামে যারা বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের সমাজভুক্ত নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতই সোচ্চার, রাসূল (সা.) নিজেদের জানমালের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্যও মুসলমানদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অন্য ধর্মাবলম্বী ও তাদের উপাসনালয়ের ওপর আঘাত-সহিংসতাও ইসলামে চিরতরে হারাম ও নাজায়েজ ঘোষণা করা হয়েছে বলে তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের বলেন। এবং সর্বশেষ মাওলানা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির (রহ.) এর জন্য সকলের কাছে দো’য়া চেয়ে তার বক্তৃতা শেষ করেন। উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার ড.মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মাহী। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব ইব্রাহিম কবির ( উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া), জনাব মুহাম্মদ ইসমাঈল (আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার), জনাব শরীফ উল্লাহ (উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম), জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান (সহকারী কমিশনার ভূমি,লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম), জনাব মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (অফিসার ইনচার্জ লোহাগাড়া থানা, চট্টগ্রাম), জনাব নুরুল ইসলাম (শিক্ষা অফিসার মাধ্যমিক, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম), জনাব আলহাজ্ব মাওলানা গোলাম রসুল ক্বমরী (পীর সাহেব কলাউজান), জনাব আলহাজ্ব মাওলানা ওয়াহিদ আহমদ ( সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক শাহ্ ফাজিল মাদ্রাসা) জনাব আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর (সাবেক অধ্যক্ষ, কলাউজান শাহ্ রশিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা), জনাব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ শাহ আলম (উপাধ্যক্ষ চুনতি হাকিমিয়া কামিল অনার্স-মাস্টার্স মাদ্রাসা) শাহ সুফি আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুস সোবহান (আরবী প্রভাষক, আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা)। ওয়ায়েজ হিসেবে ছিলেন, ড.আল্লামা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান, মাওলানা শাহজাদা ফানাফিল্লা বিন আজাদ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দিন মাহবুব, হাফেজ মাওলানা শরিয়ত উল্লাহ জিহাদি, জনাব মাওলানা আয়ুব আলী আনসারী প্রমূখ।