গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিআরডিসির প্রকল্পের পানি নিস্কাশনের নয়টি ট্রান্সফারমা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্ররা বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা দক্ষিণ পাড়া সিরাজ বেপারীর পতিত ঘরে। এ ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার মো.খলিলুর রহমান বাদী থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৯। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাছলিম জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ভাটিরা বর্ধনা খাল থেকে ৩টি সেচ মেসিন দিয়ে প্রায় ১২শত বিঘা/ ৪ শত একর কৃষি জমিতে সেচ দেয়া হয়। প্রতি বছরের ন্যায় বোরো মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ শেষে ৩টি প্রকল্পের ৯টি ট্রান্সফারমা পাশ্ববর্তী মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে সিরাজ বেপারীর পতিত পাকা ঘরে ভিতর টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে রাখা ছিল। সোমবার সকালে পানি নিষ্কাশনের জন্য ওই ট্রান্সফারমাগুলো নিয়ে আসতে যায় ওই কৃষি সেচ প্রকল্পের সদস্য মেস্তফা শেখ। পরে সেখানে গিয়ে টিনের বেড়ার নীচ দিয়ে ফাঁকা দেখে ডাক-চিৎকার করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ট্রান্সফারমাগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। আর ট্রান্সফারমার ভিতরের কয়েল ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ভোক্তভুগী কৃষক খলিলুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, এবাদুল্লাহ সিকদার, সিরাজুল বেপারী, সফিউল্লাহ, আব্দুর রশিদ খান, হাসিম উদ্দিন সিকদার, সানাউল্লাহ ফকির, আক্কাস আলী, ফুলু ফকিরসহ একাধিক কৃষক জানান-আমরা বড় হতাশাগ্রস্ত, জমিতে সেচ দিতে না পারলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। এ বিলে প্রায় ৪ শত একর আবাদী জমি রয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রায় ৩৬-৩৮ হাজার মণ ধান হয়ে থাকে। দ্রুত সেচ প্রকল্প চালু করতে না পারলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।