বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের শ্রমজীবিদের সাথে আছেন। তিনি শ্রমিকদের সর্বনি¤œ মজুরী নির্ধারন করে দিয়েছেন। তাদের কল্যানে চালু করেছেন ব্যাপক আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মসূচি। পটিয়ার ইন্দ্রপোল লবণ শ্রমিকরা বছরের পর বছর দেশের লবণ উৎপাদনে কাজ করলেও তাদের জন্য কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী থাকার জায়গা নেই। তাদের কল্যানে যা যা করা দরকার সব করা হবে। তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছেন। গত ৬ ই জানুয়ারি শুক্রবার সকালে পটিয়া ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মুহাম্মদ বদিউল আলম উপরোক্ত কথা বলেন। ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির সভাপতি এয়াকুব মাঝির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ফজল মাঝি ও টেম্পো শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির সভাপতি,সাবেক কাউন্সিলর আবদুল খালেক। প্রধান বক্তা ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ডি.এম জমির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, শফি সওঃ, নজরুল ইসলাম, সুজন বড়ুয়া, মোঃ জুয়েল, মোঃ হোসেন, মোঃ হারুন, মোঃ আবদুল আওয়াল, লবন শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ মন্নান, মোঃ আরিফ, মোঃ মামুন, মোঃ কাউছার, মোঃ সোলাইমান, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ওসমান প্রমুখ। মুহাম্মদ বদিউল আলম আরও বলেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা করেছে সরকার।দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো খাতে নিয়োজিত কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে বা মৃত্যুবরণ করলে জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।তিনি আরোও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। বর্তমান সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এতে এক কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগকারী যত্রতত্র শিল্প স্থাপন না করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শ্রমিকদের জন্য শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সমান মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুইটি বহুতল শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।